দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম
ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের সুনাম তেমন নেই। গত পাঁচ বছরে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা গড় রানের দিক থেকে আছেন একদম তলানিতে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টের প্রথম ইনিংসের আগে বাংলাদেশি লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা গত পাঁচ বছর গড়ে ১২.৯১ রান করেছেন।
সংখ্যাতেই প্রমাণ, ব্যাটিংটা খুব একটা উপভোগ করেন না বাংলাদেশের বোলাররা। আজ জানা গেল, ব্যাটিংয়ের সময় নাকি বোলিংয়ের স্পাইক পরেই ব্যাটিং করেন বাংলাদেশি বোলাররা!
হারারে টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেই বোলারদের প্রতিনিধি তাসকিন আহমেদই ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে এটি তাঁর সর্বোচ্চ রান। তাসকিন ও মাহমুদউল্লাহ মিলে ১৯১ রান করে নবম উইকেট জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন। মাত্র ৪ রানের জন্য হয়নি বিশ্ব রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস রানও গিয়ে ঠেকে ৪৬৮-তে। সবই এসেছে তাসকিনের অপ্রত্যাশিত ৭৫ রানের ইনিংসের সুবাদে। আর সে জন্য তাসকিন ধন্যবাদ দিয়েছেন ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে। তিনিই যে বোলিং স্পাইক বাদ দিয়ে তাসকিনকে ব্যাটিং স্পাইক পরতে বাধ্য করেছিলেন!
আজ দিনের খেলা শেষে তাসকিন বলছিলেন, ‘আমাদের বোলারদের ব্যাটিংয়ের জন্য উৎসাহ দেন আমাদের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। শেষ সিরিজে তিনি বলেছিলেন, এবার যেন আমি আসার সময় ব্যাটিং স্পাইক কিনে নিয়ে আসি। সাধারণত বোলাররা বোলিং বুট পরেই ব্যাটিং করি। ব্যাটিং বুট পরেই এবার নেমেছি। কোচ খুশিও হয়েছিলেন। আজ আসার সময় তিনি বলছিলেন, “দেখেছ, ব্যাটিংয়ে নামার সময় তুমি ব্যাটসম্যানই।” তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে ব্যাটিংয়ের জন্য অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য।’
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস থেকে যে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন, সেটা কাজে লাগিয়ে নিজেকে লেট অর্ডারের আরও নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়তে চান তাসকিন, ‘সব সময়ই ভালো টেলএন্ডার হওয়ার লক্ষ্য থাকে। প্রত্যেক বড় টেস্ট দলেই দেখবেন টেলএন্ডাররা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য। আমিও চাই নির্ভরযোগ্য একজন টেলএন্ডার হতে। যেন দলের দ্রুত উইকেট পড়লে বা থিতু হওয়া কোনো ব্যাটসম্যান থাকলে তাঁকে একটু সাপোর্ট দিয়ে খেলতে পারি। উন্নতির তো কোনো শেষ নেই। যদি উন্নতি করতে পারি, তাহলে দলের বিপদে কাজে আসতে পারব।’
আজ অবশ্য তাসকিনকে প্রান্ত থেকে পথ দেখানোর জন্য ছিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। পুরো ইনিংসে তাসকিনের ব্যাটিং কোচ ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘একজন টেলএন্ডার হিসেবে আমার মূল লক্ষ্যই ছিল রিয়াদ ভাইকে সমর্থন দেওয়া। তিনি সব সময় আমাকে কথা বলে বলে খেলাচ্ছিলেন। মূল লক্ষ্য ছিল যেন স্টাম্পের বলটা দেখে খেলা হয়। রিয়াদ ভাই বারবার এটাই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন। আমি আমার জায়গায় যখন বল পেয়েছি, তখন মারার চেষ্টা করেছি। সেগুলো বাউন্ডারি হয়েছে। মূলত দলের জন্য খেলার চেষ্টা করেছি।’
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মেৱাজ আলী
বার্তা সম্পাদক দৈনিক সোনালী কন্ঠ মোঃ আসকান আলী সায়মন
Leave a Reply