জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার জিতলেন কোনো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার, “গোল্ডেন বুট”। ক্লাবের হয়ে ঝুড়ি ঝুড়ি শিরোপা। শুধু তাই নয় তার ঝুলিতে রয়েছে একাধিক ব্যক্তিগত পুরস্কার। বার্সেলোনার তার ভাঁড়ার প্রায় উপচে পড়ছে। কিন্তু দেশের হয়ে বারবারই ফিরেছেন শূন্য হাতে। বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ তারকার ভক্তদের কাছে আশা ছিল এবার হয়তো দেশকে শিরোপা এনে দেবেন। ফুটবল ঈশ্বরও হয়তো চেয়েছিলেন মেসির হাতে কোপা উঠুক। আর তাই ব্রাজিলকে হারিয়ে সেই স্বপ্ন সার্থক হল ‘মিস্টার বার্সেলোনা’-র। মেসির হাতে কোপার কাপ উঠে কোপাও যেন পূর্ণতা পেল। যা এতদিন অধরা ছিল।
জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপার সাথে সাথে তিনি জিতলেন দেশের হয়ে প্রথম সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। ফাইনালের আগেই মেসি ও নেইমারকে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ঘোষণা করে কোপা আমেরিকার
আয়োজক কনমেবল। ৪ গোলের সঙ্গে ৫ অ্যাসিস্টের সৌজন্যে মেসি জেতেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। এবারের আসরে চারটি গোল করেছেন কলম্বিয়ার লুইস দিয়াসও। তবে ৫ ম্যাচ খেলা এই তারকা উইঙ্গারের নেই কোনো অ্যাসিস্ট। তিন গোলের সঙ্গে একটি অ্যাসিস্টে তিন নম্বরে আছেন পেরুর জানলুকা লাপাদুলা।
বড় প্রতিযোগিতার সেরা গোলদাতার পুরস্কার অনেবারই পেয়েছেন লিওনেল মেসি। তবে সে সবই বার্সেলোনার হয়ে। স্পেনের শীর্ষ লিগ লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার পিচিচি ট্রফি জিতেছেন রেকর্ড আটবার। শেষ পাঁচ মরসুমে টানা এই ট্রফি জিতেছেন ‘মিস্টার বার্সেলোনা’। তিনি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুটও জিতেছেন রেকর্ড ছয়বার। এবার দেশের হয়েও জিতলেন একটি গোল্ডেন বুট। মেসির চার গোলের দুটি এসেছে দুর্দান্ত ফ্রি কিক থেকে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply