1. tarekahmed884@gmail.com : adminsonali :
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
Title :
১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবাকে নিয়ে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে গরু আমদানির পক্ষে ব্যবসায়ীরা, আপত্তি খামারিদের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এর অংশ হিসেবে সম্মানিত রোজাদারগণের মধ্যে ইফতার বিতরণ এইচএসসি শুরু হতে পারে ৩০ জুন, ফরম পূরণ ১৬ এপ্রিল থেকে আলুর দাম বাড়ছে, এবার মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই কেন বাজার চড়া এবার ঢাকার বাজারেও পেঁয়াজের বড় দরপতন পবিত্র রমজানে কলেজ খোলা কত দিন সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মধ্যে নগদ ৬ হাজার টাকা করে তুলে দিচ্ছেন পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ মখলুছ মিয়াসহ অতিথিরা পূবালী ব্যাংক যোগীডহর শাখা মৌলভীবাজার সি. আর. এম. বুথ এর শুভ উদ্বোধন।

করোনায় মৃতদের দাফন ও সৎকার করে আসছে সংগঠনটি

  • Update Time : সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১
  • ৫৬৭ Time View

দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম

করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ দাফন-কাফন ও সৎকারের কাজ করে আসছে শেখ বোরহান উদ্দিন (রহ.) ইসলামী সোসাইটি (বিআইএস) মৌলভীবাজার নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এক বছর ধরে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা এ কাজ করে আসছেন। অনেক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে সংগঠনটির সদস্যদের।

করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের স্বজনেরা যখন লাশের পাশে আসেননি, তখন এই স্বেচ্ছাসেবীরা দাফন-কাফন ও সৎকারের কাজ করছেন। কোথাও দাফন-কাফন বা সৎকারের প্রয়োজন হলে তাঁরা ছুটে গেছেন। এ পর্যন্ত সংগঠনটি ২৬ জনের লাশ দাফন-কাফন ও সৎকারের কাজ সম্পন্ন করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিআইএস ২০০১ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই মাস্ক, স্যানিটাইজার বিতরণসহ সচেতনতামূলক কাজ করছে। সংগঠনের উদ্যোগে Open photoআশরাফুল খান রুহেলকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে ৪০ সদস্যের দাফন-কাফন ও সৎকার টিম। এ কাজে যুক্ত হওয়া সহজ ছিল না। পরিবার থেকে অনেককে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তবু নানা কৌশলে তাঁরা যুক্ত থেকেছেন। আবার কোনো কোনো পরিবার তাঁদের কাজে উৎসাহও জুগিয়েছে। এসব কাজ করতে গিয়ে তাঁরা মানুষের ভেতরের রূপটা দেখেছেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম মুহিবুর রহমান মুহিব বলেন, মানুষের মধ্যে যে একটি সামাজিক বন্ধন ছিল, করোনা মহামারিতে সেখানে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। করোনায় মৃত ব্যক্তির কাছে স্বজনেরা পর্যন্ত আসতে চান না। তাঁদের দলটি তখন দাফন-কাফন ও সৎকার করে দিচ্ছে। আবার করোনায় আক্রান্ত রোগীকে ফ্রি অক্সিজেন সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জাত–ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য সেবা নিশ্চিত করছেন তাঁরা। এসব কাজে অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন প্রবাসী, জনপ্রতিনিধি, সংবাদকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সংগঠনটির কয়েক সদস্য বলেন, গত বছরের ৯ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজনগরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে রাত ১১টায় দাফন-কাফনের জন্য তাঁদের স্বেচ্ছাসেবী দল ওই গ্রামে পৌঁছায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মৃত ব্যক্তির বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ নিয়ে বসে আছেন বৃদ্ধ বাবা-মা। তাঁরা স্কুলপড়ুয়া এক ছেলেকে আগেই হারিয়েছেন। এবার আরেক ছেলেকে হারিয়ে তাঁরা শোকে পাথর। করোনার ভয়ে প্রতিবেশীদের বাড়ির ফটকে তালা, ঘরের দরজা বন্ধ। কেউ কাছে আসছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা লাশ গোসল করিয়ে কাফনের কাপড় পরান। পরে রাত দুইটার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মসজিদের পাশে কবর খুঁড়ে তাঁরা লাশের দাফন সম্পন্ন করেন।

 

Open photo

Open photo

Open photoOpen photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 SonaliKantha
Theme Customized By BreakingNews