1. tarekahmed884@gmail.com : adminsonali :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৮ অপরাহ্ন
Title :
১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবাকে নিয়ে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে গরু আমদানির পক্ষে ব্যবসায়ীরা, আপত্তি খামারিদের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এর অংশ হিসেবে সম্মানিত রোজাদারগণের মধ্যে ইফতার বিতরণ এইচএসসি শুরু হতে পারে ৩০ জুন, ফরম পূরণ ১৬ এপ্রিল থেকে আলুর দাম বাড়ছে, এবার মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই কেন বাজার চড়া এবার ঢাকার বাজারেও পেঁয়াজের বড় দরপতন পবিত্র রমজানে কলেজ খোলা কত দিন সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মধ্যে নগদ ৬ হাজার টাকা করে তুলে দিচ্ছেন পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ মখলুছ মিয়াসহ অতিথিরা পূবালী ব্যাংক যোগীডহর শাখা মৌলভীবাজার সি. আর. এম. বুথ এর শুভ উদ্বোধন।

রোগীর চাপে দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে তরল অক্সিজেনের মজুত

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১
  • ৬২০ Time View

দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম

বগুড়ার করোনা বিশেষায়িত সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেনের মজুত দ্রুতই শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন যেখানে দুই হাজার লিটার মজুত থাকতেই অক্সিজেন সরবরাহ করার কথা, সেখানে আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় কেন্দ্রীয় অক্সিজেনের মজুত ৯০০ লিটারে ঠেকে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে অক্সিজেন সরবরাহ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৮৩ জন রোগী। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ১০০ লিটার অক্সিজেন ফুরিয়ে যাচ্ছে।

উদ্বিগ্ন একাধিক রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার মজুত তলানিতে ঠেকার কারণে কেন্দ্রীয় অক্সিজেনের চাপ কমে যায়। এতে করে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। এই হাসপাতালে ২০০ রোগীকে একসঙ্গে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে অক্সিজেন ফুরিয়ে যেতে পারে, এমন কথা ছড়িয়ে পড়ায় স্বজনেরা কান্নাকাটি ও ছুটোছুটি শুরু করেন। তবে সরবরাহের পর অক্সিজেনের চাপ বাড়তে থাকে।

Open photoহাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ টি এম নুরুজ্জামান আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় প্রথম আলোকে বলেন, করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালে ২৫০ শয্যায় রোগী ভর্তি আছেন ২৮৩ জন। দিনরাত গড়ে ২ হাজার ৫০০ লিটার তরল অক্সিজেন প্রয়োজন পড়ছে। এখানে ১৩ হাজার লিটারের অক্সিজেন ট্যাংক রয়েছে। এক মাস আগেও ট্যাংকে দুই হাজার লিটারের মজুত থাকতেই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড নতুন করে অক্সিজেন সরবরাহ করত। গতকাল সোমবার মজুত ১ হাজার ৭৫০ লিটারে নেমে আসে। ওই দিন স্পেকট্রা নতুন করে ২ হাজার ৫০০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করে। আজ বিকেল পাঁচটায় মজুত ৯০০ লিটারে নেমে আসে।

এ টি এম নুরুজ্জামান জানান, রোগী বেড়ে যাওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ১০০ লিটারের বেশি অক্সিজেন মজুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান মজুত আজ রাত ১০টার মধ্যে ফুরিয়ে যাবে। কারণ, ৩০০ লিটারে নামার পর সেন্ট্রাল অক্সিজেন বন্ধ হয়ে যাবে। মজুত কমে তলানিতে নেমে আসায় অক্সিজেনের চাপ কমেছে। চাহিদার এক–তৃতীয়াংশ সরবরাহ মিলছে সিলিন্ডার অক্সিজেন।

পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তত্ত্বাবধায়ক জানান, সাড়ে ৮টার দিকে তরল অক্সিজেন হাসপাতালে

এসে পৌঁছায়।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেডের ডিপো ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালটিতে তরল অক্সিজেন সংরক্ষণের ট্যাংক ১৩ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার। ট্যাংকে তরল অক্সিজেনের মজুত কমেছে। তবে হাসপাতালের উদ্দেশে অক্সিজেন বহনকারী গাড়ি রওনা হয়েছে। মজুত ফুরানোর আগেই হাসপাতালে অক্সিজেনের গাড়ি পৌঁছে যাবে।

অন্যদিকে অক্সিজেন–সংকট বিরাজ করছে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালেও। এই হাসপাতালে ১০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ট্যাংক রয়েছে। আগে একবার কেন্দ্রীয় ট্যাংক ভরে দিলেই এক মাস চলত। এখন করোনা ওয়ার্ডে রোগী বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ৫০০ লিটার অক্সিজেন দরকার হচ্ছে।

হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, করোনা ওয়ার্ডে শয্যাসংখ্যা বাড়িয়ে ২৫০ শয্যা করার পর রোগী ভর্তি আছেন ২৫৭ জন। এর মধ্যে একসঙ্গে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ট্যাংক থেকে ২০০ রোগীকে একসঙ্গে তরল অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। আইসিইউতে রোগী আছেন ২০ জন।

রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় শয্যা ৩০০ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্ত অক্সিজেনের সংকটের কারণে শয্যা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, এই হাসপাতালে তরল অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেড ইতিমধ্যেই মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এখন যে পরিমাণ অক্সিজেন তারা সরবরাহ করছে, এর চেয়ে বেশি অক্সিজেন সরবরাহ সম্ভব নয়। এই হাসপাতালে

সিলিন্ডার অক্সিজেন সরবরাহেও ঘাটতি আছে। এখানে সিলিন্ডার অক্সিজেন সরবরাহ করছে স্পেকট্রা অক্সিজেন লিমিটেড।

জানতে চাইলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরল অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লিনডে বাংলাদেশ লিমিটেডের মুখপাত্র ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সাইকা মাজেদ প্রথম আলোকে বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার তরল অক্সিজেন মজুতের ট্যাংক আছে। কিছুদিন আগেও একবার অক্সিজেন পূর্ণ করে দিলে এক মাস চলত। এখন প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ৫০০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করা লিনডের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ, এর চেয়ে বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করতে হলে নতুন আরও বড় ট্যাংক স্থাপন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন  বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন  বিজ্ঞাপন

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 SonaliKantha
Theme Customized By BreakingNews