দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম
আমরা সবাই জানি আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে একটি চামড়ার সর্ব্বোচ্চ মূল্য ছিল ৩-৪ হাজার টাকা বা সর্বনিম্ন ১৫০০-২০০০ টাকা বা একটু কমবেশি। তখন কোরবানীর চামড়া নেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি ভিড় জমাতো চামড়া ব্যবসায়ীগন যা ছিল এক ধরনের প্রতিযোগীতার মতো। আমাদের দেশে একটি বিষয় প্রচলিত আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির আসায় কোরবানীর পশুর চামড়া মাদ্রাসায় বা এতিমখানায় দান করে থাকি অথবা চামড়া বিক্রি করে গরীব অসহায়দের মধ্যে চামড়ার টাকা বিতরন করি। অর্থাŤ এই চামড়ার টাকা সম্পূর্ণই দরিদ্র জনগোষ্টির কল্যানে ব্যয় হয়।
পৃথিবীতে এখনো চামড়ার জিনিসপত্রের মূল্য অনেক চড়া অর্থাŤ চামড়ার চাহিদা বিশ^ব্যাপি সমাদ্রিত। কিন্তু কি এমন হলো হঠাŤ করে আমাদের দেশে চামড়া শিল্পের ধ্বংসের মুখে পতিত। আজ আমাদের চামড়ার দাম ৫০-১০০ টাকা চামাড়ার এমন দামের কারনে এখন আর চামড়া কিনতে কোন ব্যবসায়ী আগ্রহি হয়না অনেকে আবার তার কোরবানীর পশুর চামড়া মাটিতে পুতে পেলেছেন অনেকে নদীতে ভাসিয়েছেন এ যেন এক অবিশ্বাস্য কল্প কাহিনী। চামড়ার দাম যদি কমেও যায় তাহলে ৩ হাজার টাকার চামড়া অন্তত ১ টাকায় বিক্রয় হওয়ার কথা অথচ চামড়ার দাম আজ প্রায় শুন্যর কোঠায়।
আমরা দেখেছি, একটি দেশের শিল্পকে রক্ষা করার জন্য সে দেশের রাষ্ট্র বা সরকার সর্ব্বোচ্চ প্রচেষ্টা করে থাকে কারন একটি প্রতিষ্টিত শিল্পের সাথে সে দেশের অর্থনীতি জড়িত। আমাদের দেশের চামড়া শিল্প একসময় ২ বৃহত্তম শিল্প ছিল যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হতো এই শিল্প থেকে। ট্যানারি মালিকসহ দেশব্যাপি সচেতন মহলের নিকট প্রশ্ন জেগেছে, রাষ্ট্র বা সরকার কেন এই বিষয়ে নিরবতা পালন করছে। ট্যানারি মালিকরাও বলছেন সরকার তাদেরকে চামড়া শিল্প বিকাশের জন্য কোন প্রকার সহযোগীতা করছেনা।
বিশেষভাবে আলোচ্চ বিষয় হলো, এই চামড়ার টাকা মাদ্রাসা এতিম খানা, গরীব অসহায়দের বিতরন করা হতো আর এই শিল্প ধ্বংস হবার কারনে গরীবের হক বিনষ্ট হয়েছে এবং অনেক মাদ্রাসা এতিমখানা পড়েছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে। দেশের সামর্থবান মুসলমান কুরবানী দেন আর সেই কোরবানীতে গরীবের হক বিতরনের মাধ্যমে যেমন গরীব অসহায় মানুষ লাভবান হোন তার চেয়ে বেশি লাভবান হয় দেশের অর্থনীতি বা দেশ।
এটা সুস্পষ্ট যে, বর্তমানে চামড়া শিল্পকে নিয়ন্ত্রন করছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট আর কৌশলে গরীব এতিমের হক মেরে খেয়ে মলিক হচ্ছে হাজার কোটি টাকার। তাহলে কি তারা সেই সকল সিন্ডিকেট যারা ইতিমধ্যে দেশের দরিদ্র জনগোষ্টির হক মেরে সরকারকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ । আমরা মনে প্রানে বিশ^াস করি সরকার বা রাষ্ট্রের শতভাগ সদিচ্ছাই পারে এই সিন্ডিকেটকে ভেঙ্গে দিয়ে দরিদ্র জনগোষ্টির কল্যাণে চামড়া শিল্পকে রক্ষা করে দরিদ্র জনগোষ্টির হককে পুনরুদ্ধার করতে।
আমরা জানি আমাদের দেশের একসময়ের বৃহত্তম পাট শিল্প আজ ধ্বংস আর এখন ধ্বংস হতে চলেছে ২য় বৃহত্তম চামড়া শিল্প। এভাবেই যদি চলতে থাকে আর রাষ্ট্র বা সরকার দেশের এই শিল্প ধ্বংসের কারনে কোন কার্যকরী ভূমিকা গ্রহন না করে তাহলে একদিন দেখা যাবে আমাদের পোশাক শিল্পও সিন্ডিকেটের কবজায় পড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। সেহেতু সরকারের প্রতি দেশের একজন সাধারন জনগন হিসেবে আমরা এই অনুরুধ করতেই পারি অতিশ্রীগ্রই এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকে রক্ষার স্বার্থে কার্যকরী ভুমিকা পালন করার জন্য তবেই মানুষের মনে আস্থা তৈরী হবে সরকার দরিদ্র জনগোষ্টির পাশেই আছে এবং দেশের অর্থনীতি রক্ষায় সচেষ্ট।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জানাই সকলকে ঈদ মোবারক ঈদের শুভেচ্ছা আমাদের প্রতিষ্টান এবং ব্যক্তির পক্ষ থেকে রইল অবিরাম ভালোবাসা ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
Leave a Reply