দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতেও টস হেরে আগে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ দল। প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ে জিতেছে ২৩ রানে। আজ দুই দলের জন্যই তিন ম্যাচের এই সিরিজ জিতে নেওয়ার সুযোগ।
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে আছে একটি পরিবর্তন। মেহেদী হাসানের বদলে এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ
মোহাম্মদ নাঈম, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), শামীম হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ ও তাসকিন আহমেদ।
আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই নামছে স্বাগতিকরা।
রায়ান বার্ল, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), রেজিস চাকাভা, টেনডাই চাতারা, লুক জঙ্গুয়ে, ওয়েসলি মাধেভেরে, তাদিওয়ানশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিওন মায়ার্স, মিলটন শুম্বা
এখন পর্যন্ত ২৮টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টিতে। জিতেছে এক বার। তবে সেটিও ছিল এক ম্যাচের সিরিজ।
সব সংস্করণ মিলিয়ে ২০১৯ সালে শেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে তারা জিতেছিল ৪-০ ব্যবধানে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের শেষ জয়টি ২০১৩ সালে। দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে তারা জয় পেয়েছিল ২-১ ব্যবধানে।
সেই খরা আজ কাটাতে পারবে জিম্বাবুয়ে? নাকি বাংলাদেশ ধরে রাখবে অপরাজিত থাকার ‘সাম্প্রতিক’ সময়ের রেকর্ডটা?
তাদিওয়ানশে মারুমানি প্রথম বল থেকেই দিয়েছেন আক্রমণের ইঙ্গিত। তাসকিন আহমেদের ওভারে হয়েছে একটি চার। ভাল লাইন-লেংথের একটা ডেলিভারিতে ওয়েসলি মাধেভেরেকে পরাস্ত করেছিলেন তাসকিন। তবে দেখা মেলেনি উইকেটের। শেষ বলে শর্ট বল ভেবে ডাক করতে গিয়েছিলেন মারুমানি, তবে বল লেগেছে তাঁর হেলমেটে। তবে ঠিক আছেন তিনি, নিয়মিক কনকাশন-পরীক্ষার পর আছেন ক্রিজেই।
শেষ বলটা ব্যাট চালিয়ে মিস করলেন ওয়েসলি মাধেভেরে, তাসকিন আহমেদের এ ওভারে একমাত্র স্বস্তির জায়গা সেটিই। এর আগে ৫ বলে যে মাধেভেরে মেরেছেন ৫টি চার!
শর্ট অফ আ লেংথে তাসকিন করেছেন তিনটি বল- তিনটিই ঘুরিয়ে স্কয়ার লেগ থেকে মিডউইকেট দিয়ে চার মেরেছেন মাধেভেরে। একটি তো হয়েছে সীমানায় থাকা দুই ফিল্ডারের মাঝের গ্যাপ দিয়ে।
বাকি যে দুটি একটু ফুললেংথে করেছিলেন তাসকিন, সে দুটিতে মাধেভেরে খেলেছেন স্ট্রেইট ড্রাইভ।
সাইফউদ্দিনের ফুললেংথের বলটা আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছেন তাদিওয়ানাশে মারুমানি। শুরুতে আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি, তবে শেষ পর্যন্ত সে দায়িত্বটা বেশি করে নিয়েছিলেন মাধেভেরেই। অবশ্য প্রথম ব্রেকথ্রুর আগেই একটা ঝড় বয়ে গেছে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে। মারুমানি ফিরেছেন ২০ বলে ২৭ রান করে।
পাওয়ার প্লে-র শেষে বলে ৬৩ রানে ভেঙেছে ওপেনিং জুটি। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ওপেনিং জুটিতে ফিফটি এলো জিম্বাবুয়ের।
নাসুমের প্রথম ওভারে রিভার্স-সুইপের পর সাকিবকে টেনে আরেকটি ছয় মেরেছেন ফর্মে থাকা রেজিস চাকাভা। নেমেই আগ্রাসী তিনি। সাকিব প্রথম বলের পর আর বাউন্ডারি দেননি, তবে সে ওভারে উঠেছে ১৩ রান। ৯ ওভারে জিম্বাবুয়ে পেরিয়েছে ৯০।
স্টাম্পিংয়ের সূক্ষ্ণ কল থেকে বাঁচলেন চাকাভা। সৌম্য সরকারের শর্ট বলটা খেলতে গিয়ে মিস করেছিলেন, এরপর বেরিয়ে গিয়েছিলেন ক্রিজ থেকে। নুরুল হাসান সোহান স্টাম্প ভাঙার মুহূর্তে অবশ্য ব্যাট ঠেকিয়েছেন ক্রিজে। শেষ পর্যন্ত টিভি আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন চাকাভার পক্ষেই। ১০ ওভার শেষেই ১০০ পেরিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
নুরুল হাসান যতক্ষণে এ কথা বললেন, রেজিস চাকাভা নাসুম আহমেদকে মেরেছেন টানা তিন ছয়। প্রতিটিই ছিল স্লটে, প্রতিটিই টেনে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন চাকাভা। শেষ বলটা ফুললেংথে করেছেন, তবে এর আগেই নাসুমের দ্বিতীয় ওভারে উঠেছে ২১ রান! ১১ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১ উইকেটে ১২২ রান।
বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল এমন কিছুই! সৌম্য সরকারের বলটা ফুললেংথ থেকে স্লগ সুইপ করেছিলেন চাকাভা, সেটি গিয়েছিল মিডউইকেটে। পেছাতে পেছাতে বাউন্ডারির একেবারে ওপর গিয়ে সেটি ধরেছিলেন নাঈম। মোমেন্টাম ধরে রাখতে বাউন্ডারি পেরিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে, তবে এর আগেই বলটা ছুঁড়ে দিয়েছেন বাউন্ডারির ভেতরে। ছুটে গিয়ে সেটি নিয়েছেন শামীম হোসেন। ২২ বলে ৪৮ রান করে ফিরলেন চাকাভা। গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু এলো সৌম্যর বোলিংয়েই
ব্রেক থ্রু দিলেন, সে ওভারে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককেও ফেরালেন সৌম্য সরকার। ফুললেংথের বলের লাইন পুরোপুরি মিস করেছেন সিকান্দার রাজা। বল তাঁর প্যাডে লেগে ভেঙেছে স্টাম্প। ৩ বল ও ৩ রানের ব্যবধানে জিম্বাবুয়ে হারাল আরেকটি উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থ ফিফটি পেলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। তবে সৌম্যর জোড়া উইকেটের পর রান-রেট কমে এসেছে জিম্বাবুয়ের। শেষ ৩ ওভারে উঠেছে ১৭ রান। ৬ ওভার বাকি থাকতে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩ উইকেটে ১৩৯ রান।
এবার এলো উইকেটও। সাকিবকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে গড়বড় হয়ে গেছে মাধেভেরের। শর্ট থার্ডম্যানে ধরা পড়েছেন। ৩৬ বলে ৫৪ রান করেই ফিরলেন তিনি, ইনিংসে মেরেছেন ৬ চার।
রায়ান বার্লের শেষের ঝড়ে ১৯৩ রান পর্যন্ত গেছে জিম্বাবুয়ে। ১৮ ও ২০তম ওভারে সাইফউদ্দিন দিয়েছেন ৩৫ রান। ১৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন বার্ল।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। রেজিস চাকাভা ও ওয়েসলি মাধেভেরেতে ছুটতে থাকা জিম্বাবুয়েকে আটকে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার, এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে। এর পরের ৬ ওভারে উঠেছিল ৩৪ রান। তবে সাইফউদ্দিনের করা ১৮তম ওভারে আবারও একটা লাফ দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
ডেথ ওভারে দারুণ বোলিং করেছেন শরীফুল। এ সময়ে ২ ওভারে তিনি দিয়েছেন মাত্র ৮ রান, ১৯তম ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে একবারই এতো রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। ফলে সিরিজ জিততে কঠিন একটা চ্যালেঞ্জের সামনে তারা।
৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ৫০ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় রান-রেটে পিছিয়ে তারা। জিম্বাবুয়ে পাওয়ার প্লে-তে তুলেছিল ৬৩ রান, বিনা উইকেটে। বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে নাঈমকে। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে সাকিব আল হাসান। শেষ ১৪ ওভারে এখন দশের ওপর রান তুলতে হবে বাংলাদেশকে।
প্রথম দুই বৈধ ডেলিভারিতে ছয়, এরপর একটি ডট। তবে সাকিব আল হাসান সামলাতে পারেননি নিজেকে। লুক জঙ্গুয়েকে আবারও তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলেছেন তিনি। স্লটে পেলেও খেলতে চেয়েছিলেন টেনে, ব্যর্থ হয়েছেন তাতেই। ১৩ বলে ২৫ রান করে ফিরলেন তিনি, ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লে-র পরের ৪ ওভারে উঠেছে ৪০ রান। টিকে আছেন সৌম্য, তবে স্ট্রাইক রেটে ভুগছেন তিনি। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১০৪ রান, প্রতি ওভারে তুলতে হবে ১০.৪০ করে।
গিয়ার বদলানোর ইঙ্গিত দিচ্ছেন সৌম্য। পেয়ে গেলেন ফিফটিও। লুক জঙ্গুয়েকে কাট করে চার মেরে ক্যারিয়ারের ৫ম ফিফটি পেয়েছেন তিনি, এ সিরিজে যেটি দ্বিতীয় তাঁর। নিজের ফিফটির পর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাঁর ফিফটিও পেরিয়েছে ফিফটি। শুরুতে বোলিংয়ে একদফা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন, এবার ব্যাটিংয়েও তাঁর ইনিংসটা হবে তেমন কিছু?
শেষ ৩ ওভারে এসেছে দুটি করে বাউন্ডারি। প্রয়োজনীয় রান-রেটও এখন কমে গেছে বর্তমান রান-রেটের চেয়ে। ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ইনিংস এখন এটি সৌম্যর।
হাঁটু গেঁড়ে দারুণ এক শটে ছয় মেরেছিলেন। এরপর অফস্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করেছেন আফিফ, হয়েছেন বোল্ড। গুরুত্বপূর্ণ এক ক্যামিও তাঁর, তবে সেটি যথেষ্ট হবে বাংলাদেশের? শেষ ২৪ বলে এখন প্রয়োজন ৪০ রান।
মাহমুদউল্লাহর ছয়, শামীমের চারে টেনডাই চাতারার শেষ ওভারে উঠেছে ১২ রান। শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৮।
প্রথমে স্ল্যাপ, এরপর রিভার্স পুল। আর শেষে পুল করে লং-অন দিয়ে। শামীম হোসেনের টানা তিন চারে জয়ের আরও কাছে চলে গেছে বাংলাদেশ। শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন মাত্র ১৩ রান।
নিজেদের ইতিহাসে এতো রান তাড়া করে বাংলাদেশ জিতেছিল এর আগে একবারই। উইকেট ব্যাটিং-সহায়ক থাকলেও ১৯৩ রান তাড়া করার চাপটা ছিলই তাই।
সৌম্য সরকারের ফিফটি, সাকিব-আফিফের ক্যামিও, মাহমুদউল্লাহর ইনিংসের পর শামীম হোসেনের ১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রান করে ৪ বল ও ৫ উইকেট বাকি রেখেই শেষ ম্যাচের সঙ্গে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় মোহাম্মদ নাঈম ফিরেছিলেন দ্রুতই। সাকিব এসে দুই ছয় মেরেছিলেন, তবে দ্রুত তাঁরও ফেরা একটু চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশকে। সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ এরপর ইনিংস ধরে রেখেছেন, মাঝের সময়ে একটু ধীরগতির ছিলেন তাঁরা। গিয়ার বদলে ফিফটি পেয়েছেন সৌম্য, থেমেছেন ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেই। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাঁর জুটিতেই প্রয়োজনীয় রান-রেট কমে
এসেছিল বর্তমান রান-রেটের চেয়ে।
আফিফ হোসেন বেশিক্ষণ থাকেননি, তবে তাঁর ৫ বলে ১৪ রানের ক্যামিও ছিল কার্যকরী। বাংলাদেশও থামেনি এরপর। ১৮তম ওভারের শেষ ৩ বলে শামীমের টানা তিন চারেই মূলত জয়ের একদম কাছে চলে গেছে বাংলাদেশ। এরপর বেশি সময় লাগেনি আর।
একমাত্র টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। এবার জিতল টি-টোয়েন্টি সিরিজও।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জানাই সকলকে ঈদ মোবারক ঈদের শুভেচ্ছা আমাদের প্রতিষ্টান এবং ব্যক্তির পক্ষ থেকে রইল অবিরাম ভালোবাসা ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জানাই সকলকে ঈদ মোবারক ঈদের শুভেচ্ছা আমাদের প্রতিষ্টান এবং ব্যক্তির পক্ষ থেকে রইল অবিরাম ভালোবাসা ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জানাই সকলকে ঈদ মোবারক ঈদের শুভেচ্ছা আমাদের প্রতিষ্টান এবং ব্যক্তির পক্ষ থেকে রইল অবিরাম ভালোবাসা ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
Leave a Reply