1. tarekahmed884@gmail.com : adminsonali :
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
Title :
১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবাকে নিয়ে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে গরু আমদানির পক্ষে ব্যবসায়ীরা, আপত্তি খামারিদের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এর অংশ হিসেবে সম্মানিত রোজাদারগণের মধ্যে ইফতার বিতরণ এইচএসসি শুরু হতে পারে ৩০ জুন, ফরম পূরণ ১৬ এপ্রিল থেকে আলুর দাম বাড়ছে, এবার মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই কেন বাজার চড়া এবার ঢাকার বাজারেও পেঁয়াজের বড় দরপতন পবিত্র রমজানে কলেজ খোলা কত দিন সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মধ্যে নগদ ৬ হাজার টাকা করে তুলে দিচ্ছেন পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ মখলুছ মিয়াসহ অতিথিরা পূবালী ব্যাংক যোগীডহর শাখা মৌলভীবাজার সি. আর. এম. বুথ এর শুভ উদ্বোধন।

এভাবে চলতে পারে না, স্কুল খুলে দিন

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১
  • ৫৭৩ Time View

দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম

 

এভাবে (স্কুল বন্ধ) চলতে পারে না। বিভিন্ন দেশের সরকার কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলা ও এ রোগের বিস্তার যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তা সত্ত্বেও সব কিছুর মধ্যে সবার শেষে স্কুল বন্ধ করা এভাবে চলতে পারে না, স্কুল খুলে দিন
উচিত। স্কুল খুলে দেওয়ার আগে বিভিন্ন দেশে বার ও পাবগুলো খুলে দেওয়া ভয়াবহ ঘটনা।

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অনেকে দেশের স্কুলই বন্ধ। এরই মধ্য কয়েকটি দেশ স্কুল খুলে দিয়েছে। কোনো কোনো দেশ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। বিকল্প উপায়ে শিক্ষার্থীদের বইয়ে মনোযোগ রাখার নানান চেষ্টা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাল ইউনিসেফ। স্কুল বন্ধ থাকায় সারা বিশ্বের প্রায় ৬০ কোটি শিশুর শিক্ষাজীবন অচল হয়ে পড়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে,  জেমস এল্ডার বলেছেন, এভাবে (স্কুল বন্ধ) চলতে পারে না। বিভিন্ন দেশের এভাবে চলতে পারে না, স্কুল খুলে দিন
সরকার কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলা ও এ রোগের বিস্তার যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বিষয়টি তিনি মানেনও বলে জানান। তা সত্ত্বেও সব কিছুর মধ্যে সবার শেষে স্কুল বন্ধ করা উচিত। আর সবকিছুর আগে স্কুল খুলে দেওয়া উচিত। তিনি স্কুল খুলে দেওয়ার আগে বিভিন্ন দেশে বার ও পাবগুলো খুলে দেওয়াকে এক ভয়াবহ ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন।

আফ্রিকা মহাদেশের কিছু অঞ্চলের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলের বাইরে। ধারণা করা হচ্ছে, করোনা মহামারি কেটে যাওয়ার পর আবার স্কুল খুললে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ শিশু নানা কারণে স্কুলে ফিরতে পারবে না।

জেমস এল্ডার বলেন, সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলার জন্য অপেক্ষা করা উচিত না। করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক কঠিন অবস্থা সত্ত্বেও সরকারগুলোকে তাদের শিক্ষাবিষয়ক বাজেট সুরক্ষিত রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক দেশে করোনার কারণে অনেক দিন ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। জেমস এল্ডার বলেন, দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৮টি দেশ এবং ভূখণ্ডে স্কুলগুলো হয়তো পুরোপুরি, না হয় আংশিক বন্ধ। তার ভাষায়, বিশ্বজুড়ে শিক্ষা, নিরাপত্তা, বন্ধুত্ব, খাদ্যের স্থানে জায়গা করে নিয়েছে উদ্বেগ, সহিংসতা এবং কিশোরী মেয়েদের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়।

করোনার প্রকোপ কমায় আফ্রিকার মালাবিতে খুলেছে স্কুলআফ্রিকা মহাদেশের কিছু অঞ্চলের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলের বাইরে। মানে করোনার কারণে স্কুল যেতে পারছে না। ধারণা করা হচ্ছে, করোনা মহামারি কেটে যাওয়ার পর আবার স্কুল খুললে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ শিশু নানা কারণে স্কুলে ফিরতে পারবে না।

এর আগে গত ১২ জুলাই ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর ও ইউনেসকোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুল যৌথ বিবৃতিতে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে। লাখ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।

হেনরিয়েটা ফোর ও অড্রে অ্যাজুল বলেন, ‘আজ পর্যন্ত বিশ্বের ১৯টি দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ১৫ কোটি ৬০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। বন্ধের ক্ষেত্রে স্কুলগুলো সবার শেষে এবং পুনরায় খোলার ক্ষেত্রে সবার আগে থাকা উচিত। স্কুলগুলো পুনরায় চালুর ক্ষেত্রে সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করা যায় না। স্কুল খোলার জন্য করোনা শূন্যের কোঠায় যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা যায় না।

যৌথ বিবৃতিতে হেনরিয়েটা ফোর ও অড্রে অ্যাজুল বলেন, স্কুলে যেতে না পারার কারণে শিশু এবং তরুণ জনগোষ্ঠী যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে, তা হয়তো কখনোই পুষিয়ে নেওয়া যাবে না। শেখার ক্ষতি, মানসিক সংকট, সহিংসতা ও নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়া থেকে শুরু করে স্কুলভিত্তিক খাবার ও টিকা না পাওয়া বা সামাজিক দক্ষতার বিকাশ কমে যাওয়া—শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তাদের শিক্ষাগত অর্জন এবং সামাজিক সম্পৃক্ততায় এর প্রভাব দেখা যাবে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে ছুটি বাড়ানো হয়েছে। ৩১ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা বিঘ্নিত হচ্ছে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসজনিত বন্ধে প্রাথমিকের ১৯ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী শিখতে না পারার বা শিক্ষণঘাটতির ঝুঁকিতে আছে। এমন অবস্থায় শিক্ষার এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁদের অনেকে যেসব এলাকায় সংক্রমণ নেই বা কম, সেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo   Open photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo   Open photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo   Open photo

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 SonaliKantha
Theme Customized By BreakingNews