দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম
জৈব সুরক্ষাবলয়ে বন্দিজীবনে যেন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শেষে যেটুকু সময় পেয়েছেন, চলে গেছেন গ্রামের বাড়ির মুক্ত হাওয়ায়। আবার বলয়ে বন্দিজীবন শুরু হওয়ার আগে মোস্তাফিজের ছুটি যে এটুকুই। তাই ক্রিকেটীয় ভাবনা থেকে আপাতত একটু দূরেই আছেন মোস্তাফিজ। উপভোগ করছেন অবসর সময়টা। একই সঙ্গে আগামী দুই-তিন মাসের ক্রিকেট ব্যস্ততার জন্যও মানসিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছেন মোস্তাফিজ।
গতকাল মুঠোফোনেও প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপচারিতার শুরুতেই তাই মোস্তাফিজ বলছিলেন, ‘বাড়িতে আছি। পরিবারকে সময় দিচ্ছি। আপাতত অন্য কিছু ভাবছি না।’ তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের রেশটা এখনো রয়ে গেছে মোস্তাফিজের মনে। থাকাই স্বাভাবিক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার সুযোগ পাওয়া যায় খুব কম। টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার সেই সুযোগটা পেয়েই ইতিহাস গড়া জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মোস্তাফিজও বললেন, ‘আমাদের সবার মধ্যেই জেতার একটা বাড়তি তাড়না কাজ করেছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তো আমাদের সাধারণত খেলার সুযোগ হয় না।’
আর সেই জয়ের অন্যতম নায়ক তো মোস্তাফিজ নিজেই। ৫ ম্যাচে ওভারপ্রতি মাত্র ৩.৫২ রান দিয়ে ৭ উইকেট নেওয়া মোস্তাফিজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ভেজা উইকেট ছিলেন অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে এক রহস্যের নাম। দুর্দান্ত সিরিজ জয়ে ভূমিকা রাখতে পারার আনন্দ মোস্তাফিজের কণ্ঠেও, ‘অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজে হারানো অনেক বড় ব্যাপার। দলের সবাই খুব খুশি, আমিও খুশি হয়েছি।’
নিজেদের মাঠে হওয়া এই সিরিজে বাংলাদেশের বড় সঙ্গী ছিল কন্ডিশন। যার সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়েছেন মোস্তাফিজরা। কিন্তু আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বিশ্বকাপের আগে অবশ্য আরব আমিরাতের তিন ভেন্যুতে মাসব্যাপী চলবে আইপিএল। অর্থাৎ বিশ্বকাপের খেলাগুলো হবে আইপিএলের ব্যবহৃত উইকেটে। সে ক্ষেত্রে উইকেটের চরিত্র কেমন হতে পারে, তা একটু আন্দাজ করতে পারছেন মোস্তাফিজ, ‘আমি আরব আমিরাতে ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ খেলেছি। পিএসএলও খেলেছি। আমার যে অভিজ্ঞতা, তাতে মনে হয় ভালো উইকেটই হবে।’
যদি তা–ই হয়, তাহলে বড় রানের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কাজটা সহজ হওয়ার কথা না বাংলাদেশ দলের। মোস্তাফিজ অবশ্য বিষয়টি দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিতে। বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপে মিশন শুরু হবে ওমানে। যেখানে নির্ধারিত সময়ের সাত দিন আগেই সফর করার কথা। সেটা মাথায় রেখেই বাংলাদেশের এই পেসার বললেন, ‘আমরা তো বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলব। এরপর ওমানে যাব। মানিয়ে নিতে কিছু সময় তো আমরা পাচ্ছিই।’
তবে বিশ্বকাপের আগে মোস্তাফিজের আরেক ভাবনার নাম চোট। জিম্বাবুয়ে সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে থাকলেও চোটের কারণে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য সুস্থ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সব ম্যাচে খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার মতো পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ২৪ আগস্ট বাংলাদেশে আসছে নিউজিল্যান্ড দল। তখন থেকে আবার শুরু হবে মোস্তাফিজের ব্যস্ততা। এরপর বাংলাদেশ দলের বাকি ক্রিকেটাররা যখন বিশ্রামে যাবেন, মোস্তাফিজ খেলবেন আইপিএলে। সেটা শেষ হতে না হতেই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই টানা ক্রিকেটের ধকল শুরুর আগে মোস্তাফিজের মূল ভাবনা সুস্থ থাকা নিয়ে, ‘শুধু আমার না, আসলে পুরো দলের সবারই ভাবনা নিজেদের সুস্থ রাখা। এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply