দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মারিয়ালী এলাকায় তিন বছর আগে অটোরিকশা চুরি করতে গিয়ে চোরের দল গ্যারেজের মালিকের ভাতিজা রাসেলকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পিবিআই তদন্ত করে ১৯ আগস্ট মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ৩০ আগস্ট তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর আসামি গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জনগাঁও গুচ্ছগ্রামের জয়নাল ওরফে জুয়েল (৩০)। তিনি আদালতকে জানান, অটোরিকশা চুরি করার সময় দেখে ফেলায় এবং অন্যদের বলে দেওয়ার ভয় দেখানোর কারণে মাথায় আঘাত করে রাসেলকে হত্যা করেন তাঁরা।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গ্রেপ্তার আসামি জয়নাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি দিয়েছেন। আসামি জানান, তিনি ও তাঁর সহযোগীরা রিকশা চালাতেন। নিহত মো. রাসেলের চাচা ইদ্রিস আলীর গ্যারেজে একটি অটোরিকশা চুরি করতে তিনি ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল রাতে সহযোগীদের নিয়ে টিনের বেড়া ফাঁক করে ভেতরে ঢোকেন। জয়নাল গ্যারেজের ভেতরে গিয়ে চাবি খুঁজছিলেন। চাবির শব্দে রাসেলের ঘুম ভেঙে যায়। রাসেল তাঁকে চিনে ফেলেন এবং সবাইকে চুরির বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এ সময় তিনি রিকশার হাওয়া দেওয়ার পাম্পার দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার পুলিশ ৬ মাস তদন্ত করে এবং পরবর্তীকালে জিএমপি সদর থানা–পুলিশ দীর্ঘ ১৪ মাস তদন্ত করে। গাজীপুর জেলা ও জিএমপি পুলিশ কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গাজীপুর জেলা পিবিআইকে।
তদন্ত শেষে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের টেক ভারারিয়া থেকে জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে ১৯ আগস্ট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৩০ আগস্ট আদালতে সোপর্দ করলে তিনি স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মাকছুদের রহমান আরও জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply