দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম
তালেবান মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বলেছেন, আফগানিস্তানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের কোনো পরিকল্পনা তাঁদের নেই। দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন।
এটা গতকালের খবর। রুশ বার্তা সংস্থা স্পুতনিকে প্রকাশিত হয়েছে। একই দিনে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে তালেবান। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার যখন দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, দেশজুড়ে ইন্টারনেটই বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।
আর এবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রে পরিণত করেছে তালেবান। ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে নিজেদের বার্তা ছড়িয়েছে। জয়ের আগেই টুইটারে জয়ের দাবি করে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দিয়েছে। গত ১৫ আগস্ট কাবুলে প্রবেশের সময় স্মার্টফোনে ভিডিও করে ছড়িয়ে দিয়েছে। এরপর থেকে সংবাদ সম্মেলনগুলো সরাসরি সম্প্রচার করেছে। তা-ও একাধিক ভাষায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ‘শান্তিকামী’ ভাবমূর্তি বজায় রেখেছে তালেবান, বারবার বলতে চেয়েছে তারা বদলে গেছে। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ, সুহাইল শাহিন ও মুহাম্মাদ নাইম টুইটারে ক্রমাগত পোস্ট করে আফগানদের আশ্বস্ত করেছেন। সে টুইটগুলো হাজারোবার শেয়ার করাও হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তালেবান-প্রশিক্ষিত নাগরিক সাংবাদিকদের ভিডিও পোস্ট করতে দেখা গেছে। সেখানে আফগানদের মুখে তালেবানের প্রশংসা ছিল। তালেবানের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছে সে ভিডিওগুলো। এতে আর যা হোক, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় সহজ হয়ে উঠতে পারে।
তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিলে কাবুলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা দেয়। তালেবান সে সময় হোয়াটসঅ্যাপে হেল্পলাইন নম্বর চালু করে। যেকোনো প্রয়োজনে আফগানদের তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কেউ যোগাযোগ করে সাহায্য পেয়েছে কি না, বলা মুশকিল। তবে সেই এক পদক্ষেপে নিজেদের ইতিবাচক হিসেবে প্রমাণ করতে পেরেছে তালেবান। ফেসবুক অবশ্য সে নম্বরগুলো পরে বন্ধ করে দিয়েছে।
তালেবানের ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণের প্রথম উদাহরণগুলোর একটি ২০০৫-০৬ সালের দিকে সংগঠনটির ‘আল এমারাহ’ নামের ওয়েবসাইট চালু। ২০১৬ সালে পশতু ভাষায় একই নামের অ্যাপ ছাড়ে গুগল প্লে স্টোরে।
আফগানিস্তানে প্রথম মেয়াদে এসে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল যে তালেবান, সেই ইন্টারনেট ব্যবহার করেই গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করছে তারা। নবগঠিত সরকার কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply