দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম
শ্রীমঙ্গলের প্রকৃতিতে ডানা মেলেছে কাশকন্যা শরৎকাল যেন বালিকার চুলের খোপায় ধবধবে সাদা ফুলের অরণ্যের দিন। এই সাদা রং মনকে রাঙ্গিয়ে তুলে নতুন রূপে। তাইতো এ সময় আবার কবির ভাষায় অনেকেই বলে, শরৎ সেজেছে কাশফুলে’ থরে বিথরে বালুর চরে! সাদা মেঘের শতদল উড়ছে অপরূপ নীলাম্বরে!
পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলের প্রকৃতিতে এবারও পাখা মেলেছে কাশকন্যা’রা। শরতের এ রূপ যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে। মৃদু বাতাসে ঢেউ খেলানো কাশফুল দেখে যখন মনটা ভরে ওঠে আনন্দে। আত্মতৃপ্তি আর মুগ্ধতায় কবি রবিঠাকুরের সুরে সুর মিলিয়ে গেয়ে উঠতে মন চায়-‘তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে, এসো গন্ধে বরণে এসো গানে, তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে’।
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ভানুগাছ সড়ক ধরে কিছুদূর এগুলেই বধ্যভূমি-৭১, যেখানে গেলে মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতা যুদ্ধে শ্রীমঙ্গলের মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের ইতিহাস।
সেখান থেকে শুরু হয় সারি সারি চা বাগান। মাথার উপর জমাট বাঁধা মেঘের ঢেউ আর নীল আকাশ। সবুজ চা-বাগানের মাঝে দিয়ে পিচঢালা রাস্তা। এ পথ ধরে আধা কিলোমিটার সামনে গেলেই দেখা মিলবে কাশবনের। মৃদু বাতাসের সাথে খেলা করছে কাশকন্যারা।
নীল আকাশের নিচে সবুজ চা বাগানের ভেতর দিয়ে বইছে পাহাড়ি ছড়া। ছড়ার পাশে সুদূর বালুচর। সে চরেই ঘন সাদা কাশবন। আকাশে মেঘের ছোটাছুটি। পাহাড়ি ছড়ার দু’পাশ জুড়ে মৃদু সমীরণে দোল খাওয়া শুভ্র কাশফুলের স্নিগ্ধতা। বেলি, শিউলি, শাপলা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে আগমন শরৎ কালের। গ্রীষ্মের চোখ ধাঁধানো রোদ আর বর্ষার অঝোর ধারার শ্রাবণ ঢলের পর আগমন এই শরতের। বৃষ্টি আর রৌদ্র ছায়ার খেলার মধ্য দিয়ে ধবধবে দুধসাদা ফুলে ভরে ওঠা কাশবন।
শ্রীমঙ্গলে দৃষ্টিনন্দন চা বাগান ছাড়াও লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক, চা কন্যা, চা মিউজিয়াম, সারি সারি সবুজ চা বাগান, বাইক্কা বিল, হাইল হাওর, লাল টিলা টেম্পল, হরিনছড়া গলফ, আদিবাসী পল্লীসহ এখানকার জীবন ও প্রকৃতির টানে বছর জুড়ে এখানে ভীর করেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা।
এখানকার প্রকৃতিতে শরতে ভরে ওঠা কাশবন যেন এখন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কাশ বনের সাদা রাজ্যে পর্যটকরা আনন্দে মাতোয়ারা। যারা আসছে ইচ্ছেমত ছড়ার জলে খুনসুটি করছেন তারা। অনেকেই আবার ব্যস্ত কাশ কন্যার সাথে ছবি তোলা নিয়ে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply