চট্টগ্রাম নগরে আজ রোববার সকাল থেকে পরিবহন মালিকদের একটি অংশের বাস ও হিউম্যান হলার চলতে শুরু করেছে। এতে জনদুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। তবে আন্তজেলা ও উপজেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আজ সকাল ৬টা থেকে নগরের ১৫টি রুটে কিছু বাস ও হিউম্যান হলার চলাচল করতে দেখা যায়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ তাদের যানবাহন চালাচ্ছে। গতকাল শনিবার তারা জানিয়েছে যে আজ সকাল থেকে তারা যানবাহন চালাবে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোকে জানান, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। কিন্তু এ সুযোগে দেখা যাচ্ছে একটি পক্ষ রাস্তায় নেমে পিকেটিং করে অ্যাম্বুলেন্সসহ সাধারণ যানবাহন আটকে দিচ্ছে। ধর্মঘটের সুযোগে বিরোধী একটি পক্ষ এ কাজটি করছে বলে তাঁদের মনে হয়। এ কারণে তাঁরা আজ সকাল থেকে তাঁদের গাড়িগুলো রাস্তায় নামিয়েছেন। কমবেশি সব রুটে গাড়ি চলছে।
নগরের ১৫টি রুটে প্রায় ৪০০ বাস ও হিউম্যান হলার রয়েছে বলে জানান বেলায়েত হোসেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু পরিবহনশ্রমিক বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করছেন। বিষয়টা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। ভাড়ার বিষয়টি ওপরের নির্দেশে ঠিক করা হবে।’
অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ চট্টগ্রামে ধর্মঘটে অটল রয়েছে। এ পক্ষটি বলছে, ঢাকায় আজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকের পর সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সে অনুযায়ী তাঁরা চলবেন। সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের আওতাধীন গাড়ি চালাবেন না বলে জানান সংগঠনের মহাসচিব গোলাম রসুল।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় গত বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে। এরপর ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার অঘোষিতভাবে সারা দেশে বাস, ট্রাক ও অন্য পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকেরা।
বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের অঘোষিত ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি এ খাতের মালিক সমিতির নেতারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে গতকাল ট্রাক সমিতির বৈঠকের পরও ধর্মঘট প্রত্যাহারের কোনো ঘোষণা আসেনি। উল্টো গতকাল থেকে লঞ্চ চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকেরা।
এ কারণে দুই দিন ধরে চলা ধর্মঘট আজ তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। দেশজুড়ে বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন না চলায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে মানুষকে কয়েক গুণ ভাড়া দিয়ে রিকশা, অটোরিকশা ও শরিকি যাত্রার মোটরসাইকেলে চলাচল করতে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply