মাংসপেশির চোটে এখনো মাঠের বাইরে মেসি। মেসিহীন পিএসজির আক্রমণভাগ গত রাতে উজ্জ্বল হয়েছিল নেইমার আর এমবাপ্পে-আলোয়। দুজনের ৩ গোলেই লিগে বোর্দোকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে দলটা। তবে দৃষ্টিকটুভাবে চোখে পড়েছে পিএসজির রক্ষণ–দুর্বলতা।
প্রথমেই নেইমারের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। গোলে সহায়তা ছিল এমবাপ্পের। প্রিয় বন্ধু জনপ্রিয় ব্রাজিলিয়ান গায়িকা মারিলিয়া মেনদোন্সা কিছুদিন আগে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন, নিজের প্রথম গোলটা তাঁকেই উৎসর্গ করেছেন নেইমার।
২৬ বছর বয়সে প্রাণ হারানো মেনদোন্সাকে উৎসর্গ করা গোলটা করেছেন ম্যাচের ২৬ মিনিটেই। গোল করেই ক্যামেরার সামনে গিয়ে জার্সি খুলে ভেতরের গেঞ্জি দেখিয়েছেন নেইমার, যেখানে মেনদোন্সার উদ্দেশে কিছু কথা লেখা ছিল, ‘আমি আজীবন তোমার ভক্ত থাকব বেদনার রানি! চিরশান্তিতে থেকো এম এম (মারিলিয়া মেনদোন্সা)।’
প্রসঙ্গত, বিরহের গান একটু বেশি গাইতেন বলে মেনদোন্সাকে বেদনার রানি বলা হতো।
৪৩ মিনিটে আবারও দেখা গেল নেইমার-এমবাপ্পের যৌথ ঝলক। ডি-বক্সের মধ্যে বোর্দোর একাধিক ডিফেন্ডারও আটকাতে পারেননি তাঁদের দুর্দান্ত ‘ওয়ান-টু’ রসায়ন। এমবাপ্পের পাস থেকে নেইমারের গোলে প্রথমার্ধেই ২ গোল এগিয়ে যায় পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণে ডাচ্ মিডফিল্ডার জর্জিনিও ভাইনালডমের কাছ থেকে বল পেয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে দেন এমবাপ্পে।
এর পরই যেন আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠে বোর্দো। ৭৭ মিনিটে প্রতিভাবান মিডফিল্ডার ইয়াসিন আদলির পাসে গোল করেন হন্ডুরাসের স্ট্রাইকার আলবার্ত এলিস। এই আদলি মূলত এসি মিলানের খেলোয়াড়, এখন ধারে খেলছেন বোর্দোর হয়ে। বিকল্প হিসেবে মাঠে নামা লেফটব্যাক নুনো মেন্দেস এলিসকে আটকাতে পারেননি।
ম্যাচের একদম শেষ দিকে বর্ষীয়ান ফরোয়ার্ড জিমি ব্রায়ান্ডের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান আরেকটু কমিয়ে দেন মিলানের সাবেক স্ট্রাইকার এমবায়ে নিয়াং; যদিও শেষমেশ ম্যাচে আর সমতা আসেনি।
১৩ ম্যাচ শেষে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে পিএসজি। দ্বিতীয় স্থানে লেঁসের পয়েন্ট ১০ কম।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply