1. tarekahmed884@gmail.com : adminsonali :
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
Title :
১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবাকে নিয়ে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে গরু আমদানির পক্ষে ব্যবসায়ীরা, আপত্তি খামারিদের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এর অংশ হিসেবে সম্মানিত রোজাদারগণের মধ্যে ইফতার বিতরণ এইচএসসি শুরু হতে পারে ৩০ জুন, ফরম পূরণ ১৬ এপ্রিল থেকে আলুর দাম বাড়ছে, এবার মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই কেন বাজার চড়া এবার ঢাকার বাজারেও পেঁয়াজের বড় দরপতন পবিত্র রমজানে কলেজ খোলা কত দিন সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মধ্যে নগদ ৬ হাজার টাকা করে তুলে দিচ্ছেন পাইলগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ মখলুছ মিয়াসহ অতিথিরা পূবালী ব্যাংক যোগীডহর শাখা মৌলভীবাজার সি. আর. এম. বুথ এর শুভ উদ্বোধন।

জাপানে ওয়াটার রকেটযাত্রা

  • Update Time : শনিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২১
  • ৫০২ Time View

দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম

একটা কার্ড পেলাম। লাল-সবুজ কার্ডটি যেন বাংলাদেশের পতাকা। উল্টিয়ে দেখি ইংরেজিতে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ লেখা। সঙ্গে শুভেচ্ছা। কার্ডটি দিয়েছিল ভিয়েতনাম দলের বন্ধুরা। আমরা তো মুগ্ধ।

আমরা ১৯টি দেশের ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা মিলেছিলাম জাপানের চিবাতে। আয়োজনটা ছিল ‘ওয়াটার রকেট ইভেন্ট’। এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনাল স্পেস এজেন্সি ফোরামের সহযোগিতায় এর আয়োজন করেছিল জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি।

জাপানে ওয়াটার রকেটযাত্রা

বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি থেকে নির্বাচিত হয়ে আমরা চারজন যাই প্রতিযোগী হিসেবে। সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি। আমাদের দলে আমরা চার প্রতিযোগী—স্যার জন উইলসন স্কুলের ফারদিম মুনির, ইমতিয়াজ আহমেদ, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সাদ বিন হাসান সিয়াম আর অরণি বিদ্যালয়ের আমি। আমাদের দলনেতা ও কোচ ছিলেন রেজা সরকার। বাংলাদেশ দলে শিক্ষক হিসেবে আমাদের সঙ্গে

গিয়েছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান আর পর্যবেক্ষক ছিলেন মোহাম্মদ ফয়সাল মোস্তফা হাশেম।

আমাদের প্রতিযোগিতা ছিল ২৯ ও ৩০ নভেম্বর। ঢাকা থেকে ২৭ নভেম্বর রাতে রওনা দিয়ে পরের দিন রাতে জাপানের নারিতায় গিয়ে পৌঁছাই। সেখান থেকে আমরা একটি বাসে করে হোটেলে যাই। ২৯ নভেম্বর সকাল আটটায় সব দেশের ছেলেমেয়ে মিলে বাসে করে যাই নিহন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেই হবে আমাদের প্রতিযোগিতা। এখানে আমরা সবাই নিজ নিজ দেশের ওপরে কিছু প্রেজেন্টেশন দেখালাম। সেখানেই পৌনে ১২টায় হলো দুপুরের খাওয়া।

বেলা তিনটায় আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো টোকিওর মিরাইকান বিজ্ঞান জাদুঘরে। ঢুকেই দেখতে পেলাম এক বিশাল পৃথিবী। দেখে মনে হলো সত্যিকারের পুরো পৃথিবীটাই যেন সামনে। হঠাৎ দেখলাম জাদুঘরের মাঝখানে কী যেন দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছে সবাই একত্র হয়ে। গিয়ে দেখি রোবট। নাম অ্যাসিমো, যা তৈরি করেছে হোন্ডা কোম্পানি। রোবটটি মানুষের মতোই লাফায়, দৌড়ায়, গান করে ও হাঁটে।

৩০ নভেম্বর আমাদের মূল প্রতিযোগিতা। ওয়াটার রকেট বানাতে হবে আর তা উড়িয়ে ৮০ মিটার দূরে নির্দিষ্ট একটা বৃত্তের মধ্যে ফেলতে হবে। সকাল সাতটায় আমরা (বাংলাদেশ দল) বাসে করে নিহন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। আগে জানতাম জাপানের অপর নাম নিপ্পন। ওখানে গিয়ে শুনি ওরা নিহন উচ্চারণ করে। নিহন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েই শুনি কিছুক্ষণ পর ওয়াটার রকেট প্রতিযোগিতা শুরু হবে। তাই আমরা সবাই তাঁদের কথামতো দুটি ঘরে ভাগ হয়ে গেলাম। ঘরে ঢুকে যে যার টেবিলে চলে গেলাম। এখানে ছয়টি প্লাস্টিকের বোতল, দুটি টেপ (পিভিসি), দুই টুকরো প্লাস্টিসিন ও একটি নজল রাখা আছে।

এখানে বলে দিই ওয়াটার রকেট হলো প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বানানো একধরনের রকেট। কোমল পানীয়ের দেড়-দুই লিটারের দুটি বোতল দিয়ে রকেট তৈরি করা হয়। এতে প্লাস্টিকের শিট কেটে পাখনা লাগানো হয়। সামনের অংশে প্লে ডো বা প্লাস্টিসিন দিয়ে একটু ওজনও দিতে হয়। বোতলটির তিন ভাগের এক ভাগ পানি ভরে, নিচের দিকে নজল লাগিয়ে এটা লঞ্চিং প্যাড বা লঞ্চারে বসাতে হয়। নজলের সঙ্গে পাম্পার লাগিয়ে পাম্প দিতে হয়। এতে একটা চাপ তৈরি হয়। এরপর লঞ্চারের আংটা ছেড়ে দিলে রকেটটা উড়ে যায়।

অপেক্ষা করতে করতে চলে এল আমার রকেট ওড়ানোর পালা। লঞ্চিং প্যাডে আমার রকেট ঢুকিয়ে পাম্প করছি। পাম্প করার পর ওটা লঞ্চ করলাম। রকেটের নিচ দিয়ে প্রচণ্ড বেগে পানি পড়ছে, আর রকেট উড়ে যাচ্ছে। ইশ্, অল্পের জন্য বুলস আইয়ের কাছাকাছি পড়ল না। এরপর অপেক্ষা করছি দ্বিতীয়বার লঞ্চ করার জন্য। এবারও নির্দিষ্ট জায়গায় রকেট ফেলতেপারলাম না। আমাদের দলের সবারই একই অবস্থা। বাতাস ছিল ঝোড়ো আর এলোমেলো। আমরা নিরাশ হলেও দলনেতা বললেন, ‘তোমরা ভালোই করেছ। অনেকেরটা তো ওড়েওনি।’ চলে গেলাম ফ্রেন্ডশিপ ডিনারে। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম প্রথম হয়েছে মালয়েশিয়া, দ্বিতীয় আর তৃতীয় হয়েছে জাপানের প্রতিযোগী।

এরপর আমরা আরও দুই দিন থেকেছিলাম জাপানে। গিয়েছিলাম রাজধানী টোকিওতে ম্যাগনেটিক ট্রেনে করে। ঘুরে ঘুরে দেখেছি টোকিও শহর। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এফ আর সরকারও তখন টোকিওতে। তিনি এপিআরএসএএফের সভায় যোগ দিতে এসেছেন। সেই সভার পাশাপাশি চলছে প্রদর্শনী। প্রদর্শনী দেখে আমরা গেলাম ‘প্রবাসী’ হালাল ফুড নামের একটা দোকানে। কয়েকজন বাংলাদেশি মিলে এটি চালান। খেয়েদেয়ে চলে গেলাম হোটেলে। ব্যাগ গোছাতে হবে। পরদিন সকালে যে আমাদের দলটাকে উড়াল দিতে হবে বাংলাদেশের উদ্দেশে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

 

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 SonaliKantha
Theme Customized By BreakingNews