মাহমুদুল হাসান ৬, রেজাউর রহমান ১০—দুজন মিলে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন সাকল্যে ১৬টি। তাতেই তাঁরা সুযোগ পেয়ে গেছেন বাংলাদেশের টেস্ট দলে। দুজনই ছিলেন বিসিবির সর্বশেষ হাই পারফরম্যান্স দলে। তার আগে দুজনের পথ ছিল আলাদা।
মাহমুদুল গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন। এরপর করোনার কারণে খুব বেশি ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সুযোগ হয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগ ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ছাপ রাখেন নিজের উন্নতির।
মাঝে বিসিবি হাই পারফরম্যান্স দলের হয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে মাহমুদুলের অভিষেক হয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। এবারের জাতীয় লিগসহ এখন পর্যন্ত ৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি। চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে প্রথম ম্যাচে জোড়া শূন্য দিয়ে শুরু করলেও পরের দুই ম্যাচে তিনি করেন দুটি সেঞ্চুরি। চলতি রাউন্ডেও ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে খেলেছেন ৮৩ রানের ইনিংস। সব মিলিয়ে ৬ ম্যাচের ১০ ইনিংসে ৪৬ গড়ে মাহমুদুল রান করেছে ৪৬০।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাহমুদুলের এমন শুরুটা নাকি প্রত্যাশিতই ছিল। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে তিনি ভালো করবেন, এমন সুনাম তাঁর বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই। চোটের কারণে তামিম ইকবালের ছিটকে পড়ায় তাই প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুতই মাহমুদুলের কপাল খুলেছে।
কাল বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২১ বছর বয়সী মাহমুদুলের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বলেছেন, ‘মাহমুদুল তার ক্যারিয়ারের শুরুতেই উন্নতির ছাপ রেখেছে। দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটে ভালো করার মানসিকতা তার আছে। এখন ছন্দেও আছে।’
মাহমুদুলের মতো রেজাউরও খুব বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেননি। ২২ বছর বয়সী পেসার গত বছর জাতীয় লিগ দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পা রাখেন। তিনি ১০ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ৩৩ উইকেট। এবার জাতীয় লিগে প্রথম ম্যাচে নেন তিনি ৮ উইকেট, পরের দুই ম্যাচে আরও ৪টি।
সিলেট থেকে গত পাঁচ বছরে জাতীয় দলে আসা চতুর্থ পেসার হতে যাচ্ছেন রেজাউর। আবু জায়েদ, ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদের পর এবার রেজাউর সুযোগ পেলেন। জাতীয় লিগে অভিষেকের পর থেকেই সিলেট বিভাগ দলে রেজাউর গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠেছেন।
রেজাউরের সুযোগ পাওয়ায় বড় ভূমিকা মূলত তাসকিন ও শরীফুলের চোটের। গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে আঙুলে চোট পেয়েছেন তাসকিন। আগের ম্যাচে কুঁচকির চোটে মাঠ ছাড়েন শরীফুল। ওদিকে গত ১৯ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রামে টেস্ট দলের অনুশীলনে ছিলেন রেজাউর। দেশের হয়ে ২ টেস্ট খেলা খালেদ আহমেদও ছিলেন সেই ক্যাম্পে। তিনি গত এক বছর টেস্ট দলের আশপাশেই ছিলেন।
কিন্তু তুলনামূলক অভিজ্ঞ খালেদকে দলে না ডেকে রাখা হয় রেজাউরকে। মিনহাজুলের কথায় অবশ্য এ ব্যাখ্যা ছিল না, ‘তাসকিন ও শরীফুলের চোটের ভাবনা থেকেই রাজাকে (রেজাউর রহমান) দলে ডাকা হয়েছে। সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভালো করছে। ছেলেটা অনেক শক্তিশালী ও উদ্যমী। আশা করি, সে ভালো করবে।’
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply