ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তুরিন ছাড়ার পর জুভেন্টাসের পারফরম্যান্সে ভাটার টান লেগেছে। সিরি ‘আ’তে এখন পর্যন্ত খেলা ১৪ ম্যাচের ৫টিতে হেরেছে তুরিনের ‘ওল্ড লেডি’রা। বাকি ৯ ম্যাচের ৬টিতে জিতে এবং ৩টি ড্র করে ২১ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার অষ্টম স্থানে আছে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নাপোলি। মৌসুম এখনো অর্ধেক পেরোতে পারেনি, অথচ শিরোপা লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছে জুভেন্টাস।এ তো গেল মাঠের পারফরম্যান্সের কথা; মাঠের বাইরেও জুভেন্টাসের বাজে অবস্থা চলছে। গত পরশু পুলিশ ঢুকেছে জুভেন্টাসের কার্যালয়ে। আর্থিক অনিয়মের কারণে ক্লাবটির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এরই অংশ হিসেবে এই অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জুভেন্টাস ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দলবদল থেকে লভ্যাংশ আর এজেন্টদের ফি নিয়ে অনিয়ম করেছে বলে অভিযোগ আছে।
প্রথমে তদন্ত শুরু হয় জুভেন্টাসের ছয় কর্মকর্তার বিপক্ষে। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ে কেউটে। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে পেয়েছে প্রক্রিয়াটির সঙ্গে পুরো ক্লাবই জড়িত। এ কারণে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসা হয় পুরো ক্লাবকেই। এমনকি অভিযোগ আছে ক্লাবের সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেল্লি এবং সহসভাপতি ও ক্লাবটির কিংবদন্তি ফুটবলার পাভেল নেদভেদের বিরুদ্ধেও। তদন্তের আওতায় আছেন এই গ্রীষ্মে টটেনহামে যোগ দেওয়া ক্লাবটির সাবেক ক্রীড়া পরিচালক ফাবিও পাত্রিসিও-ও। জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইতালির ফুটবলের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে কাজ করা সংস্থা কভিসক ও অর্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনসবও।
পুলিশি অভিযান নিয়ে তুরিনের সরকারি কৌঁসুলির অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কৌঁসুলি অফিসের নির্দেশে আজ (শুক্রবার) বিকেলে গুয়ারদিয়া দি ফিনানৎসার পুলিশ জুভেন্টাস ক্লাব স্পার তুরিন ও মিলান অফিসে অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে অংশ নিয়েছে তুরিনের অর্থসম্পদ-বিষয়ক পুলিশ ইউনিটও। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কোম্পানির অনুমোদন করা আর্থিক বিষয়-সম্পর্কিত কাগজপত্র খুঁজে বের করা।’
গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্তের খবর অনুযায়ী এই দুই বছরে ৪২ জন খেলোয়াড় কেনাবেচা করেছে জুভেন্টাস। এর মধ্যে রয়েছে মিরালেম পিয়ানিচ, আর্থুর, দানিলো ও হোয়া কানসেলোর মতো খেলোয়াড়দের দলবদলও।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply