পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে ইউনিয়নের কালুরপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ইয়াসিন আলম (৪২)। তিনি ভাড়ারা ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে লড়ছিলেন। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম প্রথম আলোকে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আজ সকাল ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ খান এবং স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী সুলতান মাহামুদ খান ও ইয়াসিন আলমের সমর্থকেরা কালুরপাড়া গ্রামে প্রচারণা চালাতে যান। এ সময় সমর্থকদের সঙ্গে ইয়াসিন আলমও ছিলেন। প্রচারণার একপর্যায়ে তিন পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় একে অপরের ওপর লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে কয়েকটি গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
এ সময় ইয়াসিন আলমসহ তিন পক্ষের ১০ জন আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসিন আলমসহ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পথেই ইয়াসিন আলমের মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নিহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর লাশ পাবনায় নিয়ে আসার পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। সকালে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তবে ঘটনার পর থেকে সব পক্ষই গা ঢাকা দিয়ে আছে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply