প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর আগে একই অনুষ্ঠানে চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফলাফল প্রকাশের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গণভবন থেকে এ অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা ও পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১১টি বোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হাতে ফলাফল তুলে দেন।
এবার করোনা মহামারির কারণে আগামী ১ জানুয়ারি সারা দেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব না হলেও সেদিন থেকেই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ শুরু হবে। ভিড় এড়াতে একেক দিন একেক শ্রেণির বই বিতরণ করা হবে। এবার ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি বই বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
করোনার কারণে স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় এ বছরের বিলম্বিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এবং সমমানের পরীক্ষা গত ১৪ নভেম্বর শুরু হয়েছিল, শেষ হয় ২৩ নভেম্বর।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসিতে এবার ১৮ লাখ ৯৯৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এ ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে ৩ লাখ ১ হাজার ৮৮৭ জন ও কারিগরি বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শুধু তিনটি ঐচ্ছিক বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষাগুলো পৃথক দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং পরীক্ষার সময় স্বাস্থ্য নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল। বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের মতো বাধ্যতামূলক বিষয়ে পরীক্ষায় বসেনি পরীক্ষার্থীরা।
তিনটি ঐচ্ছিক বিষয়ের ফলাফল এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেটসহ (জেএসসি) শিক্ষার্থীদের আগের পাবলিক পরীক্ষার গ্রেড পয়েন্ট গড় (জিপিএ) চূড়ান্ত ফলাফল তৈরিতে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পত্রের পরীক্ষার সময় ছিল দেড় ঘণ্টা এবং এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি ছিল না। প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মুঠোফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।
গতকাল বুধবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এ ওয়েবসাইটে পরীক্ষার্থীদের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে এসএসসির ফল পাওয়া যাবে। দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে।
যেভাবে ফলাফল জানা যাবে
আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে। এ ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।
এ ছাড়া মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে। মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ-SSC DHA 123456 2021 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে, ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য DAKHIL লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ-DAKHIL MAD 123456 2021 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে, ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply