আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ওয়ানডের কথা। নতুন বল হাতে পেয়ে তাসকিন আহমেদ বিশাল আউটসুইংয়ের চেষ্টায় বেশ কয়েকটি ওয়াইড বল করে বসেন। সুইংয়ের চেষ্টায় গতিও কিছুটা কমিয়ে আনছিলেন তিনি। কিন্তু লাইন ঠিক হচ্ছিল না। বল অতিরিক্ত সুইং করে বেরিয়ে যাচ্ছিল ওয়াইডের সীমানার বাইরে। এলোমেলো বোলিংয়ে তাসকিন ১০ ওভারে রান দিয়েছিলেন ৫৫, উইকেট নিয়েছেন ২টি।
আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভিন্ন এক তাসকিনের দেখা মিলল। সুইং বাদ দিয়ে নিজের শক্তির জায়গা সিম মুভমেন্টে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন এই ফাস্ট বোলার। তাতে ফিরে এসেছে নিয়ন্ত্রণ। আজ জহুর আহমেদ চৌধুরীর কন্ডিশনে সুইং করানোর সুযোগ থাকলেও সে চেষ্টা করেননি। নতুন বলে ৫ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। তবে কোনো অতিরিক্ত রানও দেননি। তাসকিনের সেরা রূপটা অবশ্য দেখা যায় মাঝের ওভারে। আজ যেমন দেখা গেল।
ওয়ানডে ক্রিকেটে তাসকিনের সিংহভাগ সাফল্য এসেছে ১১ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে। আজকের আগে তাসকিনের ৫৭ ওয়ানডে উইকেটের মধ্যে ৩০টিই এসেছে মাঝের ওভারে। ৩০ গজের বাইরে ৪ ফিল্ডার থাকায় হার্ড লেংথে বল করার স্বাধীনতা পান তিনি। লেংথ বল থেকেও ছোট ছোট সিম মুভমেন্ট আদায় করে নেন দারুণ দক্ষতায়। সঙ্গে তাসকিনের গতি উইকেটে থিতু ব্যাটসম্যানদের কাজটা করে তোলে আরও কঠিন।
মাঝের ওভারে ব্যাটসম্যানরা সাধারণত গতির চেয়ে স্পিনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। হুট করে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে কাউকে বোলিং করতে দেখলে ব্যাটসম্যানদের ছন্দপতন হয়।
আজ তাসকিনও তাঁর দ্বিতীয় স্পেলে এসে সে কাজ করেছেন। উইকেটে থিতু আফগানিস্তান দলের দুই ব্যাটসম্যান রহমত শাহ, নাজিবুল্লাহ জাদরানকে আউট করে ম্যাচের উত্তেজনা শেষ করে দিয়েছেন। দুজনই সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামকে ভালো খেলছিলেন। তামিম ইনিংসের ২৫তম ওভারে তাসকিনকে নতুন স্পেলে বোলিংয়ে এনেছেন।
প্রথম বলে বোল্ড ৫২ রানে থাকা রহমত। অফ স্টাম্প বরাবর ধেয়ে আসা বলটি উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে যাওয়ার আগে বেল ছুঁয়ে যায়।
২৮তম ওভার বাঁহাতি নাজিবুল্লাহ পরাস্ত হন তাসকিনের গতি ও বাউন্সে।
৫৪ রানে অপরাজিত থাকা নাজিবুল্লাহকে ভালো লেংথ থেকে বেরিয়ে যাওয়া বলের ফাঁদে ফেলেন তাসকিন। আচমকা লাফিয়ে ওঠা বলটি নাজিবুল্লাহকে চমকে দিয়ে তাঁর ব্যাটের স্টিকার ছুঁয়ে যায় মুশফিকের গ্লাভসে। তাসকিন আজ ১০ ওভারে ৩১ রান দিয়ে সেই দুটি উইকেটই নিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ খুব একটা সাদামাটা মনে হলেও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন তাসকিনই।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply