ঐতিহাসিক এক সফরে এ মুহূর্তে পাকিস্তানে আছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হওয়া টেস্ট ২৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম খেলা। দিনটি সকাল থেকেই নিজেদের দিকে নিতে পারেননি প্যাট কামিন্স, ডেভিড ওয়ার্নার, জশ হ্যাজলউডরা। তাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে প্রথম দিন শেষেই মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান তোলে পাকিস্তান।
ক্লান্ত-বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া দল তখন সবে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে দিনের খেলা শেষ করে হোটেলে ফেরার বাসে উঠেছে। ক্লান্ত দেহ খেলোয়াড়েরা এলিয়ে দিয়েছেন বাসের সিটে। কারও মাথায় হয়তো ঘুরছে দ্বিতীয় দিনের পরিকল্পনা। ঠিক সেই সময় গোটা দলকে হতভম্ব করে দিয়ে অবিশ্বাস্য সেই সংবাদ দেন ডেভিড ওয়ার্নার। জানান, কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন মারা গেছেন!
শুক্রবার বিকেলেই থাইল্যান্ডের কোহ সামুইয়ে মৃত্যুবরণ করেন সর্বকালের সেরা লেগ স্পিনার। তিন মাসের ছুটি কাটাচ্ছিলেন ওয়ার্ন। কয়েক বন্ধু নিয়ে থাইল্যান্ডে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। হোটেলকক্ষে একটু বিশ্রাম নিয়ে বাইরে বের হওয়ার কথা ছিল সবাই মিলে। কিন্তু ওয়ার্ন আর বের হতে পারেননি, পড়ে রইলেন নিজের হোটেলকক্ষে। বন্ধুরা নানাভাবে তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু সব চেষ্টা বিফল করে ওয়ার্ন চলে যান না-ফেরার দেশে।
অস্ট্রেলিয়া দল শুক্রবার সকালে পিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল রডনি মার্শের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে। সবাই হাতে লাগিয়েছিলেন কালো ব্যান্ড। আর সন্ধ্যায় ওয়ার্নারের মৃত্যুর খবরটি তাঁর ম্যানেজার জেমস এরসকাইনের থেকে প্রথমে পান ওয়ার্নার। এরপর তিনি সেই ভয়াবহ সংবাদ জানান দলের সবাইকে।
ওয়ার্নারের স্ত্রী ক্যান্ডিস ওয়ার্নার জানিয়েছেন, কীভাবে ওয়ার্নার ওয়ার্নের মৃত্যুর খবরটি সবাইকে জানিয়েছেন, ‘ওয়ার্নারের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তবে মেসেজ দিয়ে সে জানিয়েছে, শেন ওয়ার্নের মৃত্যুসংবাদ ওয়ার্নার প্রথমে পায় কিংবদন্তি ক্রিকেটারের ম্যানেজার জেমস এরসকাইনের কাছ থেকে। এরপর সে তাঁর সতীর্থদের ভয়াবহ খবরটি দেয়।’
ক্যান্ডিস আরও জানিয়েছেন, এমনিতেই রডনি মার্শের মৃত্যু আর টেস্টের প্রথম দিন বাজে যাওয়ায় গোটা দল ছিল বিধ্বস্ত, এর মধ্যেই ওয়ার্নের মৃত্যুর খবরটি বড় ধাক্কা হয়ে আসে ক্রিকেটারদের জন্য, ‘দিনটি এমনিতেই ভালো যায়নি অস্ট্রেলিয়া দলের। রডনি মার্শের মৃত্যুর খবর পেয়েই তারা মাঠে নেমেছিল। বাজে দিন কাটিয়ে হোটেলে ফেরার পথে এমন খবর পাওয়ায় সবার কেমন লেগেছে, সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।’
ওয়ার্নার ফক্স টিভিতে বলেছেন, ‘মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি তখন আমরা। সবাই বাসে বসা। এমন সময় এরসকাইনের একটা বার্তা আসে আমার ফোনে। ওয়ার্ন মারা গেছে। পুরো বিষয়টিই ছিল তলপেটে বড় ধরনের একটা ঘুষির মতো। আমার গলা কাঁপছিল সংবাদটি সবাইকে দিতে। বাসে তখন অদ্ভুত নীরবতা। সবার কাছেই অবিশ্বাস্য ছিল বিষয়টি।’
থাইল্যান্ড থেকে ওয়ার্নের মৃতদেহ অস্ট্রেলিয়ায় আনার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে শেষকৃত্যের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তবে আপাতত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের জন্য কঠিন কয়েকটি দিনই অপেক্ষা করে আছে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৪৭৬ রানের বিশাল এক সংগ্রহ পেয়েছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার কাজ এখন পাকিস্তানের সেই সংগ্রহের কাছে পৌঁছানো। ওয়ার্নের মৃত্যুর পর গোটা দলের মানসিক অবস্থা যে কী, সেটি তো বোঝাই যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply