দেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২
৪২৭ Time View

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলছে, দেশের যেসব পরীক্ষাগারে করোনার পরীক্ষা হচ্ছে, সব স্থানেই পরিস্থিতি স্থিতিশীল।

আজ বুধবার দুপুরে নিয়মিত ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে এসব কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রুবেদ আমিন। তিনি বলেন, গত ২৪ দিনে দেশে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২ মার্চ দেশে সংক্রমণের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। তা কমে ১৫ মার্চ হয়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ৯ মার্চ থেকে দেশে করোনায় সংক্রমণের হার ২ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে।

অধ্যাপক রুবেদ আমিন বলেন, গত সপ্তাহে দেশে করোনায় সংক্রমণের হার ২ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। এটা একটা সুখবর। করোনা পরীক্ষার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এক সময়। এখন তা কমানো হয়েছে। দেশে আরটিপিসিআর ১৫৯টি, জিন এক্সপার্ট ৫৭টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৬২টি পরীক্ষাগারে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা হচ্ছে। এ পর্যন্ত সারা দেশে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫৩টি পরীক্ষা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে সারা দেশে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪২ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ১১২ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৫ শতাংশের ওপরে।

রুবেদ আমিন আরও বলেন, দেশে ১৪ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশের বয়স ৫১ থেকে ৮০ বছর। যাঁরা হৃদ্‌রোগ, ক্যানসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন বা যাঁরা করোনার টিকা নেননি, তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি ছিল। করোনায় মৃত ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ টিকা নেননি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ১৫ মার্চ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৪৫ কোটি ৮৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬০ লাখ ৪৭ হাজার ৬৫৩ জন মারা গেছেন। মৃত্যুর দিক থেকে এগিয়ে আছে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো, সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৬ লাখ মানুষ মারা গেছেন। ইউরোপে ১৯ লাখের বেশি মারা গেছেন। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫৭২ জন মারা গেছেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo