টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম শতক তুলে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন কেশব মহারাজ। কিন্তু শেষের দিকের ব্যাটসম্যান হলে যা হয়, ভালো খেলতে খেলতে একপর্যায়ে গিয়ে ধৈর্য থাকে না। আজ দ্বিতীয় দিনে মহারাজেরও তাই হলো।
দ্বিতীয় সেশনে নবম ওভারে তাইজুল ইসলামকে অযথা সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড। সেন্ট জর্জেস পার্ক গ্যালারিও হতাশ। ৯৫ বলে ৮৪ রানের বিনোদনদায়ী ইনিংসটার কী অপচয়!
৬১ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গিয়েছিলেন মহারাজ। দ্বিতীয় সেশনেও ধরে রাখেন মারকুটে ব্যাটিং। এই সেশনে আরও ৩৪ বল খেলে তুলেছেন ২৯ রান। ৩ ছক্কা ও ৯ চারে সাজানো ইনিংসটি আরও বড় হতে পারত। তা না হওয়ায় স্বস্তি পেতেই পারে বাংলাদেশ। সেজন্য সবচেয়ে বড় ধন্যবাদটা দিতে হবে তাইজুলকে।
কাল প্রথম দিনে ৩ উইকেট নেওয়ার পর আজ সকালের সেশনে উইয়ান মুল্ডারকে তুলে নেন তাইজুল। দ্বিতীয় সেশনে মহারাজকেও আউট করে ইনিংসে ন্যূনতম ৫ উইকেটের দেখা পেলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। টেস্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দশমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রানে অলআউট হওয়ার পর তাইজুলের বোলিং বিশ্লেষণ ৫০-১০-১৩৫-৬। চা বিরতিতে গেছে দুই দল।
২০১৪ সালে নাথান লায়নের পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিলেন তাইজুল। সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে প্রোটিয়াদের মাটিতে ৫ উইকেট পেলেন তাইজুল। অর্জন আছে আরও। সাকিব আল হাসানের পর টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেট পেলেন তাইজুল।
সাইমন হারমার ও মহারাজের ৩৮ রানের জুটি ভাঙার পর অবশ্য পুরোপুরি অস্বস্তি কাটেনি বাংলাদেশের। দশে নামা লিজাড উইলিয়ামসকে নিয়ে পাল্টা লড়াই করেন হারমার। প্রোটিয়াদের শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলারদের। হারমার তো ছিলেনই এমনকি উইলয়ামসও উইকেটে জমে যান। ৭১ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন দুজন।
খালেদ ও তাইজুলের কাছ থেকে টানা তিন ওভারে তিন চার আদায় করেন হারমার-উইলিয়ামস জুটি। ভালো ব্যাটিং করায় অনেকেই হয়তো প্রোটিয়া পেসার উইলিয়ামসের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ঢুঁ মেরেছেন। হ্যাঁ, প্রথম শ্রেণিতে তিনটি অর্ধশতক আছে, সর্বোচ্চ ৮৩*। উইলিয়ামসের এক ধাপ ওপরে ব্যাটিংয়ে নামা হারমারের প্রথম শ্রেণিতে দুটি শতক আছে।
তাঁদের জুটি ভাঙতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সাফল্য মিলেছে ১৩৬তম ওভারে। তাইজুলের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ২৯ রান করা হারমার। হারমারের পা উঠে যাওয়ার সময় কুশলী স্টাম্পিং করেন লিটন দাস। পরের ওভারেই উইলিয়ামসকে (১৩) তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের অলআউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে তাইজুল-ইবাদতকে দিয়ে বল করান বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। তাইজুল ভালো লাইন-লেংথে বল করলেও ইবাদতের নিয়ন্ত্রণ খুব একটা ছিল না। ইবাদতের টানা তিন ওভার থেকে পাঁচটি চার তুলে নেন মহারাজ। এরপর ১২৪তম ওভারে গিয়ে বোল্ড হন।
অন্য প্রান্ত থেকে মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত ও খালেদ হোসেনদের অদল-বদল করলেও তাইজুলকে এক প্রান্তে টানা বল করান মুমিনুল। দ্বিতীয় সেশনে ২১.২ ওভার খেলা হয়েছে। ৬৯ রান তুলতে বাকি ৩ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ২টি উইকেটই তাইজুলের।
১৩৬.২ ওভার ব্যাট করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে বাংলাদেশের তিন স্পিনার তাইজুল, মিরাজ ও নাজমুল হোসেন মিলে বল করেছেন ৭৯.২ ওভার। ২৬.২ ওভার বল করে ১ উইকেট নেন মিরাজ। ৩ ওভার বল করে উইকেট পাননি নাজমুল।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply