ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদিও সিরিজটা ঘরের মাঠে খেলছে, আজ থেকে শুরু তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে একটা দিক দিয়ে নিকোলাস পুরানের দলের চেয়ে বরং মাহমুদউল্লাহর বাংলাদেশই আছে এগিয়ে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের ভেন্যু ডমিনিকার উন্ডসর পার্কে খেলার অভিজ্ঞতা যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদেরই বেশি!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই টি–টোয়েন্টি দলের মাত্র দুজন ক্রিকেটারই এর আগে উইন্ডসর পার্কে খেলেছেন। একজন পেসার আলজারি জোসেফ। ২০১৭ সালের মে মাসে উইন্ডসর পার্কে হওয়া সর্বশেষ টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন তিনি।
আরেকজন ডেভন থমাস। আট বছরেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর গত বছরই টি–টোয়েন্টি দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফিরেছেন তিনি। থমাস উইন্ডসর পার্কে খেলেছেন ২০০৯ সালে, বাংলাদেশের বিপক্ষেই ওয়ানডে সিরিজের একটি ম্যাচে।
উইন্ডসর পার্কে খেলার অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ এগিয়ে কারণ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেখানে দুজন খেলোয়াড়ের ডমিনিকার এ মাঠে মাত্র একটি করে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা, সেখানে বাংলাদেশের মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান ২০০৯ সালেই এ মাঠে খেলে গেছেন দুটি করে ওয়ানডে, দুটিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ।
১৩ বছর আগের সেই স্মৃতি মনে করে এখনো ভালো লাগে বাংলাদেশ দলের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর। তবে সেই স্মৃতির কোনো প্রভাব এত বছর পর আরেকটি সিরিজে পড়বে বলে মনে হয় না তাঁর। মাহমুদউল্লাহর কাছে আজ থেকে শুরু টি–টোয়েন্টি সিরিজটা সম্পূর্ণই নতুন এক সিরিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরানের জন্য তা আরও বেশি। দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের মতো তাঁরও অভিজ্ঞতা নেই উইন্ডসর পার্কে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার। ২০১৭ সালে হ্যারিকেন ‘মারিয়া’র তাণ্ডবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এ মাঠে যে গত পাঁচ বছর কোনো খেলাই হয়নি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আজ আবারও এ মাঠে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে বৃষ্টি যদি খেলাটা হতে দেয় আর কি!
টানা বৃষ্টির কারণে উইন্ডসর পার্কে কাল কোনো দলই পারেনি অনুশীলন করতে। পুরান অবশ্য এটাকে বড় কোনো সমস্যা মনে করছেন না, ‘বলব না যে এক দিন অনুশীলন না করায় খুব ক্ষতি হয়ে গেছে। সেন্ট লুসিয়ায় দুটি ভালো অনুশীলন সেশন হয়েছে আমাদের। আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এই এক সেশনের অনুশীলন খুব বেশি পার্থক্য তৈরি করত বলে মনে হয় না।’
কাল পর্যন্ত ডমিনিকার মাঠটাও দেখা হয়নি পুরানের। তবে আগের দিন দলের কোচিং স্টাফের সদস্যরা মাঠ দেখে গেছেন। তাঁদের কাছে যা শুনেছেন, তাতে উইন্ডসর পার্কের উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হবে বলেই মনে হয় ক্যারিবীয় অধিনায়কের, ‘আজ (গতকাল) বৃষ্টি ছিল। মাঠ দেখার সুযোগ হয়নি। তবে আগের দিন কোচরা এসে মাঠ দেখেছেন। সম্ভবত খুব ভালো ব্যাটিং উইকেটই হবে এখানে। দুই দিনই খুব ভালো ক্রিকেট আশা করছি।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া দুই টেস্টের সিরিজটি বাদ দিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। এ মাসের শুরুতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও তারপরই পাকিস্তানে গিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে হয়েছে ধবলধোলাই। একই পরিণতি বরণ করেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের মাটিতে টি–টোয়েন্টি সিরিজেও। তিন ম্যাচ খেলে ওয়েস্ট হেরেছিল তিনটিতেই।
নিকোলাস পুরান অবশ্য ফলাফলের চেয়ে প্রক্রিয়া ঠিক রাখাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন এই সময়ে, ‘নেদারল্যান্ডস এবং পাকিস্তানে যে দল গঠন প্রক্রিয়াটা আমরা শুরু করেছি, সেটা এখানেও চালিয়ে যেতে চাই। পাকিস্তানে ফলাফল আমাদের পক্ষে যায়নি। তবে ফলাফল সব সময় আমরা নিয়ন্ত্রণও করতে পারব না। সবাই তাদের সেরাটা দেবে, এটাই মূল কথা। আমরা মানুষকে আনন্দ দেওয়ার কাজটা করে যেতে চাই। দল হিসেবে একসঙ্গে থাকতে চাই। ফলাফলটা তখনই আমাদের পক্ষে আসবে। সে জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply