শিক্ষার্থীদের মানবিক ও নীতিবান মানুষ হতে হবে। প্রতিযোগিতা নয়; বরং সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে তাদের বড় হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে বাংলা সংস্কৃতিকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
আজ শুক্রবার কুমিল্লায় ‘শিখো-প্রথম আলো’ জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন অতিথিরা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল আটটায়। তার আগেই কুমিল্লা জিলা স্কুল মাঠে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা জড়ো হন। সারিবদ্ধভাবে পাঁচটি বুথে হাজার হাজার শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ক্রেস্ট, সনদ ও নাশতা সংগ্রহ করে। সংবর্ধনায় ৩ হাজার ১৪৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
আবৃত্তি, গান, কথায় অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত করে তোলে শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে সুধীজনেরা আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হওয়ার অনুপ্রেরণা দেন। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলা সংস্কৃতি হৃদয়ে ধারণের আহ্বান জানান।
আয়োজকেরা জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জামাল নাছের, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবু জাফর খান, কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ শিপন মিয়া, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার, কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাফিজ, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শিখোর সহপ্রতিষ্ঠাতা জিসান জাকারিয়া, প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির প্রধান মুনির হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর কুমিল্লার নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীউল হক।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানবিক ও নীতিবান মানুষ হতে হবে। কৃতীদের গায়ে জিপিএ-৫–এর যে সিল লেগেছে, তার মর্যাদা বহন করতে হবে।’ পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃতী শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে বড় হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে। বাংলা সংস্কৃতিকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।’
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জামাল নাছের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করলে সেই বাংলাদেশ অর্জন করতে পারবে। যে বাংলাদেশ এখনকার তরুণেরা চায়। সেটি হলো স্মার্ট বাংলাদেশ।’
প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির প্রধান মুনির হাসান বলেন, প্রথম আলো বাংলাদেশের জয় দেখতে চায়। এ ক্ষেত্রে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাত ধরে এগোনো সম্ভব। প্রথম আলো সংবাদ পরিবেশনের বাইরে নানা ধরনের সামাজিক কার্যক্রম করে। এর বেশির ভাগই শিক্ষার্থীদের নিয়ে। গণিত অলিম্পিয়াড, ভাষা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক, ফিজিক্স অলিম্পিয়াড, ইন্টারনেট উৎসব, অদম্য মেধাবীদের বৃত্তি ইত্যাদি। কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয় করাসহ ইতিবাচক সব ক্ষেত্রেই প্রথম আলো বাংলাদেশের পাশে আছে, থাকবে।
কৃতী শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলে, ‘প্রথম আলোর স্বীকৃতি সামনের পথচলাকে আরও উদ্দীপ্ত করবে।’ অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী কিশোর সংগীত পরিবেশন করেন ও আবৃত্তি করেন কুমিল্লার বিশিষ্ট আবৃত্তিকার বদরুল হুদা জেনু। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কৃতী শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
দেশের ৬৪ জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা কার্যক্রম। এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে ফ্রেশ, এটিএন বাংলা এবং প্রথম আলো কুমিল্লা জেলা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধুসভা।
অনুষ্ঠানে প্রথমা প্রকাশন, প্রথম আলোর প্রকাশনা কিশোর আলো, বিজ্ঞানচিন্তা, চলতি ঘটনা স্টল থেকে বিপুলসংখ্যক বই ও ম্যাগাজিন কেনে কৃতী শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে ৯ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে সেবা দেওয়া হয়। ফ্রেশ ব্র্যান্ডের স্ন্যাক্স বক্স ও প্রথম আলো পত্রিকা দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply