উদ্ধারকর্মীরা ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের নিচে যখন আয়ার সন্ধান পান, তখন সে মায়ের নাড়ির সঙ্গে প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। সেখান থেকে বের করে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। খলিল আল সুয়াদি নামের এক দূর–সম্পর্কের আত্মীয় তাকে আফরিন শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে শিশু বিশেষজ্ঞ হানি মারুফের চিকিৎসাধীন সে। মারুফ বলেন, ‘সোমবার যখন তাকে এখানে আনা হয়, তখন তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। গায়ে প্রচণ্ড আঘাত লেগেছিল, কালশিটে দাগ ছিল, শরীর ঠান্ডা হয়ে ছিল, শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল।’ তবে আয়ার অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক খালিদ আতিয়াহ বলেন, আয়াকে দত্তক নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ তাঁকে ফোন করেছেন। তবে খালিদ তাকে এখন দত্তক দিতে চান না। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে দত্তক নেওয়ার জন্য কাউকে অনুমতি দেব না। তার দূর–সম্পর্কের আত্মীয় ফিরে না আসা পর্যন্ত আমি তার চিকিৎসা করছি।’
খালিদের নিজেরও চার মাস বয়সী কন্যাসন্তান আছে। তাঁর স্ত্রী এখন নিজের সন্তানের পাশাপাশি আয়াকেও বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন।
Leave a Reply