তুরস্কে ভূমিকম্প হয়েছে ৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে ১৩ দিন কেটে গেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ শিশুসন্তানকে নিয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন সামির–রাগদা দম্পতি। অবশেষে আজ শনিবার তাঁদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। এই তুর্কি দম্পতির বাড়ি দেশটির হাতায় প্রদেশের আনতাকিয়া জেলায়।
উদ্ধারকারীরা যখন সামির মুহাম্মদ আক্কার, তাঁর স্ত্রী রাগদা ও তাঁদের ১২ বছর বয়সী সন্তানকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বের করে আনেন, তখন সেই দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে তুরস্কের টিভি চ্যানেল এনটিভি। তাতে দেখা যায়, স্ট্রেচারে করে তিনজনকে বের করে আনা হচ্ছে। তখন সেখানে অপেক্ষায় ছিল একটি অ্যাম্বুলেন্স।
আনতাকিয়া জেলার মধ্যাঞ্চলে কানাতলি নামে একটি অ্যাপার্টমেন্টে শিশুসন্তানসহ থাকতেন সামির–রাগদা দম্পতি। ভূমিকম্পে তাঁদের ভবনটি ধসে পড়ে। এরপর প্রায় ২৯৬ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন তাঁরা। তবে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কীভাবে তাঁরা বেঁচে ছিলেন, এ বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
যেসব উদ্ধারকারী সামির–রাগদা দম্পতিকে উদ্ধার করেন, তাঁদের মধ্যে কিরগজিস্তান থেকে আসা একদল উদ্ধারকর্মীও ছিলেন। উদ্ধারকাজ চলার সময় তাঁরা সে ভবনে কয়েকজন জীবিত থাকার ব্যাপারে ইঙ্গিত পান। এরপর সতর্কতার সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়। অবশেষে তিনজনকে জীবিত উদ্ধারে সফল হন।
জীবিত উদ্ধারের পর সামির–রাগদা দম্পতিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে উদ্ধার করার কিছুক্ষণ পরই তাঁদের শিশুসন্তানটি মারা যায়। এই দম্পতির আরও দুই সন্তান ভূমিকম্পে ভবনধসে মারা গেছে। উল্লেখ্য, এ ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মারা গেছেন।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply