সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নকল পণ্য রপ্তানির অভিযোগ তোলা হয়েছে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) ও ফ্রান্সের ইউনিয়ন ডেস ফেব্রিকস (ইউনিফ্যাব) নামের দুটি সংগঠনের এ অভিযোগ একেবারেই ঢালাও।
প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করা অন্যায্য ও ক্ষতিকর। বিশ্বের নামকরা ব্র্যান্ডগুলোর বায়িং হাউস রয়েছে বাংলাদেশে। নিয়মিত নিরীক্ষাও হয়। এ ছাড়া মেধাস্বত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্তত ১১টি আইন রয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও অনুবিভাগ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউএসটিআরকে চিঠি দিয়ে এসব কথা বলেছে। এদিকে এএএফএ ও ইউনিফ্যাবের গত জানুয়ারি মাসে তোলা অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে বিশেষ পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএসটিআর। পর্যালোচনাটি বৈশ্বিক মেধাস্বত্ব অধিকার রক্ষা ও তা কার্যকরের সঙ্গে সম্পর্কিত।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসির (বাংলাদেশ) ব্যাপারে এ ধরনের পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের সময় দিয়ে ইউএসটিআর এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বা ব্যাখ্যা চাইলে ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিবেদন পাঠায়। পরে দেশের পোশাক খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত পক্ষগুলোর বক্তব্য শুনে ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আরেকটি বিশদ প্রতিবেদন পাঠায় ইউএসটিআরে।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেসব দেশে বাংলাদেশ তেমন রপ্তানিই করে না, সেসব দেশেও নকল পণ্য রপ্তানির অভিযোগ উঠেছে। এক অভিযোগে ২৫টি বড় দেশের নাম থাকলেও তাতে বাংলাদেশের নাম নেই। ইউএসটিআর এখন ন্যায্য পর্যালোচনা করবে বলেই আমরা আশা করছি।’
ইউএসটিআরকে এএএফএ বলেছে, বাংলাদেশে নকল পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, রপ্তানিও হচ্ছে। এ ধরনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন প্রভৃতি দেশে জব্দ হয়েছে। বাংলাদেশের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মেধাসম্পদ সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়নি। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেন বাংলাদেশকে উচ্চ নজরদারির তালিকায় রাখে।
বাণিজ্যসচিব প্রথম আলোকে আরও বলেন, ইউএসটিআর এখন যাচাই করবে। তার আগে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাছ থেকে তথ্যও নিতে পারে। কিছু না পেলে তো ভালো। নইলে শুল্ক বাড়াতে পারে বা কোনো কর্মপরিকল্পনা দিতে পারে।
বিজিএমইএ গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এক চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানায়, তাদের কোনো সদস্যের মাধ্যমে নকল পণ্য রপ্তানি হওয়া একটি অসম্ভব বিষয়। বিশ্বের নামকরা ব্র্যান্ডগুলো বায়িং হাউসের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট পণ্যের জন্য ক্রয়াদেশ দেয়। রপ্তানির আগে তারা সেগুলো পরীক্ষাও করে দেখে। ৪০ বছরে যে সুনাম অর্জিত হয়েছে, মূল্যবান ক্রেতাদের কাছে সেই আস্থা বজায় রাখতে বিজিএমইএ বদ্ধপরিকর।
এদিকে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কথা হচ্ছে, কারা নকল পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করেছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। তখন আমরা যেমন ব্যবস্থা নিতে পারব, তেমনি সরকারও পারবে। ঢালাও অভিযোগ পুরো খাতটির জন্য ক্ষতিকারক।’
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply