রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের বাসিন্দা। একই সময়ে বিভাগে নতুন করে ১৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগে ৬৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৮। এর আগের দিন বিভাগের ৮ জেলায় ৬৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৭৪। গতকাল বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরে সর্বোচ্চ ৩১ জন আছেন। এ ছাড়া পঞ্চগড়ে ১১, নীলফামারীতে ২৩, লালমনিরহাটে ৬, কুড়িগ্রামে ১০, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৪, দিনাজপুরে ২৯ ও গাইবান্ধায় ১৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৮ জন।
রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনায় ১ হাজার ২৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলায় সর্বোচ্চ ৩৩৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া রংপুরে ২৯৫, ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫৭, পঞ্চগড়ে ৮৩, নীলফামারীতে ৯২, লালমনিরহাটে ৭১, কুড়িগ্রামে ৬৯ ও গাইবান্ধায় ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভাগে এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৩২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, সংক্রমণের হার ওঠানামা করছে। একই সঙ্গে সুস্থতার সংখ্যাও বাড়ছে। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
এদিকে আমাদের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, জেলায় ৫১ দিন পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
২০২০ সালের ১১ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওই বছর জেলায় ৮ হাজার ১৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৪৮১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ১৫, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২৯ জন। ২০২১ সালে ৬ হাজার ২২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ওই বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ২১৩ জন। আর চলতি বছরে এটাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত ২৪৩ জন মারা গেছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে ২০২০ সালের ৩১ মে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো ব্যক্তি মারা যান।
ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন নূর নেওয়াজ আহম্মেদ বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় আক্রান্তের হার কিছুটা কমেছে। এই নিম্নমুখী হারের মধ্যেও জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেলেন। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে টিকার আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি মাস্কের যথাযথ ব্যবহার ও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply