বাংলাদেশের জন্য বিদেশি সহায়তা ছাড়ের পরিমাণ ও প্রতিশ্রুতি উভয়ই কমেছে। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে দেশে বিদেশি সহায়তা ছাড়ের পরিমাণ ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে।
সেই সঙ্গে কমেছে দাতাদের সহায়তার অঙ্গীকার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বিদেশি সহায়তার অঙ্গীকার আরও বেশি কমেছে। এই সময়ে তা
এমসিসিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে দেশে বিদেশি সহায়তা ছাড়ের পরিমাণ ১৪৭ কোটি ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৫৩৬ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৮৩ কোটি ডলার।
জুলাই-মার্চ সময়ে সহায়তার প্রতিশ্রুতি ২৩৫ কোটি ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৩০৮ কোটি ডলারে, আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৪৩ কোটি ডলার।
ডলার-সংকটে দেশের অর্থনীতিতে চাপ তৈরি হয়েছে এবং একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ কমছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে, ইতিমধ্যে যার প্রথম কিস্তি পাওয়া আছে। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে প্রায় ২০০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা পাওয়ার কথা রয়েছে। বাজেট সহায়তার এই অর্থ পেলে রিজার্ভ বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এই তুলনা আগের বছরের সঙ্গে হচ্ছে বলে অনেকটা কম দেখাচ্ছে। আগের অর্থবছরে কোভিডবিষয়ক কিছু সহায়তা পাওয়া গেছে, যা এবার নেই। সম্প্রতি কিছু বাজেট সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া অর্থবছরের আরেকটি প্রান্তিকে হিসাব আসেনি।
তবে জাহিদ হোসেন মনে করেন যে সেই হিসাবের পরও সামগ্রিকভাবে বিদেশি সহায়তা কিছুটা কমতির দিকেই থাকবে।
এই অর্থনীতিবিদ ধারণা করেন, পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া না গেলেও সম্ভবত সরকারের প্রকল্প সহায়তা বেশি কমেছে। মূলত প্রকল্প যথাসময়ে শেষ না হওয়ার কারণে এটি ঘটেছে। এতে সরকারের বিনিয়োগ কমে যায়। তবে বাজেট সহায়তা সরাসরি রিজার্ভে যোগ হয় বলে তা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সহায়ক।
Leave a Reply