করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্বে বিভিন্ন দেশে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী ঘরে থেকে শিক্ষাগ্রহণে বাধ্য হচ্ছে। কিছু দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে। লকডাউনে থাকাকালে এই শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে কী প্রভাব পড়ছে, সেটি নিয়ে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, মানসিক এই সংকট কাটাতে সিঙ্গাপুরের একটি স্কুলে নেওয়া হয়েছে অভিনব উদ্যোগ।
করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের জীবনে বদলে গেছে অনেক কিছুই। লকডাউনে তাদের জীবন ঘরবন্দী। সামাজিক কর্মকাণ্ড, খেলাধুলা, সবই বন্ধ। তবে থেমে নেই পড়াশোনা। লকডাউনের পরে যেসব শিক্ষার্থী, বিশেষ করে যেসব শিশু ক্লাসে ফিরছে, তারাও স্বাভাবিক পরিবেশ পাচ্ছে না। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। পড়াশোনার চাপও বাড়ছে। ফলাফল ও পড়াশোনার এ চাপ নতুন পরিস্থিতিতে অনেক শিশুই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না। বিভিন্ন দেশে পরিচালিত এ–সংক্রান্ত গবেষণা থেকে এমন তথ্যই জানা যায়।
যুক্তরাজ্যে বছরের অর্ধেক সময় স্কুল বন্ধ ছিল। সরকারি এক প্রতিবেদন বলছে, গত বছর ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রতি ছয়জনে একজন শিশু মানসিক অসুস্থতায় ভুগেছে। এর আগের তিন বছরে প্রতি ৯ জনে ১ জন শিশু এ ধরনের মানসিক অসুস্থতায় ভুগেছে। অর্থাৎ মানসিক অসুস্থতার হার বাড়ছে। প্রায় একই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রেও। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মানসিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার হার ৩১ শতাংশ বেড়েছে।
Leave a Reply