দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ডধারী অন্তত ৬০০ জনের মধ্যে খাওয়ার অযোগ্য দুর্গন্ধযুক্ত ও পচা চাল বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার ৫৬০ কেজি নিম্নমানের চাল জব্দ করেছেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বেগমপুর ইউনিয়নের অবশিষ্ট ১ হাজার ৫৬ জন ভিজিএফ কার্ডধারীর মধ্যে আজ সোমবার দিনব্যাপী ভালো চাল বিতরণ করা হয়।
নিম্নমানের চাল বিতরণের ঘটনাটি গতকাল রোববারের। ওই দিন বিকেলে জব্দ করা চাল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা খাদ্যগুদামে ফেরত আনা হয় এবং সেখান থেকে সমপরিমাণ ভালো চাল বেগমপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে খাওয়ার অযোগ্য চাল বিতরণের ঘটনায় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেগমপুর ইউনিয়নের ভিজিএফ কার্ডধারী ১ হাজার ৬৬০ জনের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত শনিবার সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজির ৫৫২ বস্তা চাল (১৬ হাজার ৫৬০ কেজি) বেগমপুরে নেওয়া হয়। রোববার বিতরণ করা খাওয়ার অযোগ্য দেখে উপকারভোগীরা প্রতিবাদ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন বলেন, লালচে, দুর্গন্ধযুক্ত, অনেকটাই পচা এই চাল মানুষ কেন, পশুরও খাওয়ার অযোগ্য। খাওয়ার অযোগ্য চাল সরবরাহের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নিয়ে যাঁরা খেলছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
অভিযোগ পেয়ে সদরের ইউএনও মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে রোববার বেগমপুরে যান। খাওয়ার অযোগ্য এই চাল বিতরণ স্থগিত রাখতে ইউএনও বেগমপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেনকে নির্দেশ দেন। কিন্তু ততক্ষণে ২০০ বস্তায় ৬ হাজার কেজি চাল ৬০০ জনের মধ্যে বিতরণ হয়ে গেছে। ইউএনও তাৎক্ষণিকভাবে অবশিষ্ট ৩৫২ বস্তায় ১০ হাজার ৫৬০ কেজি চাল জব্দ করেন এবং তা সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের ১ নম্বর গুদামে রেখে ভালো মানের সমপরিমাণ চাল রাতের মধ্যেই বেগমপুরে পৌঁছানো ও সোমবার বিতরণের ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বেগমপুর ইউনিয়নে বিতরণের জন্য পাঠানো চালগুলো জীবননগর গুদাম থেকে দুই সপ্তাহ আগে এসেছে। নিয়ম মেনেই তাঁর গুদামে চাল সংরক্ষণ ও সরবরাহ করা হয়েছে। তবে চালের মানের বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না।
এদিকে জীবননগর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) কাওসার আহমেদ বলেন, জীবননগর গুদামে স্থানসংকুলান না হওয়ায় সম্প্রতি সেখান থেকে ৫০০ মেট্রিক টন চাল সদর গুদামে পাঠানো হয়। পুরোনো চাল বিতরণ করা হলো কেন প্রশ্নে তিনি দাবি করেন, চালগুলো চলতি ২০২১ সালে বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা।
তবে ওই কর্মকর্তার দাবির সঙ্গে সরেজমিন খাদ্যগুদাম পরিদর্শনকালে বাস্তবতার মিল পাওয়া যায়নি। যে বছরে যে মৌসুমে চাল সংগ্রহ করা হয়, সে চালের বস্তায় সময় উল্লেখ থাকে। জীবননগর থেকে পাওয়া চালের বস্তাগুলোতে কালো রঙে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সাল এবং লাল রঙে জীবননগর লেখা রয়েছে। এতে স্পষ্ট হয় যে চালগুলো পুরোনো।
জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, সরকারি নিয়মানুযায়ী বিভিন্ন মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান ঠিক থাকতেই অর্থাৎ, পরবর্তী দুই বছরের মধ্যেই গুদাম থেকে ছাড় করা হয়ে থাকে। সেখানে চার-পাঁচ বছর আগের পুরোনো চালের ঘটনাটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই কর্মকর্তা বলেন, পুরো ঘটনাটি খুলনায় আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ঈদের পর তিনি নিজেই বিষয়টির তদন্ত করবেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। শিগগিরই এর আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হবে। জড়িতদের কেউ রেহাই পাবেন না।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জানাই সকলকে ঈদ মোবারক ঈদের শুভেচ্ছা আমাদের প্রতিষ্টান এবং ব্যক্তির পক্ষ থেকে রইল অবিরাম ভালোবাসা ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জানাই সকলকে ঈদ মোবারক ঈদের শুভেচ্ছা আমাদের প্রতিষ্টান এবং ব্যক্তির পক্ষ থেকে রইল অবিরাম ভালোবাসা ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জানাই সকলকে ঈদ মোবারক ঈদের শুভেচ্ছা আমাদের প্রতিষ্টান এবং ব্যক্তির পক্ষ থেকে রইল অবিরাম ভালোবাসা ঈদের শুভেচ্ছা ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
Leave a Reply