দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম
ঘটনাটা অনেকেরই জানা। সেটি আবার নতুন করে সামনে এসেছে রবি শাস্ত্রীর এক সাক্ষাৎকারে। সম্প্রতি ভারতের টাইমস নাউকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের বর্তমান কোচ নিজেই বলেছেন সে কথা।
২০০৭ সালে বাংলাদেশ সফরে দেরি করে হোটেল রুম থেকে নিচে নামায় সৌরভ গাঙ্গুলীকে টিম বাসে উঠতে দেননি শাস্ত্রী। সে সফরে ভারতীয় দলের ম্যানেজার ছিলেন শাস্ত্রী।
ভারতীয় ক্রিকেটের দুই বিখ্যাত তারকা চরিত্র রবি শাস্ত্রী ও সৌরভ গাঙ্গুলী। দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে যথেষ্ট কানাঘুষা আছে। অনেকেই এ দুজনের সম্পর্ককে ‘অম্ল-মধুর’ বলেন।
বেশ কয়েকবার দুজন দুজনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। অনেকবারই দুজনের সম্পর্ক নিয়ে খবর তৈরি হয়েছে। কালের বিবর্তনে দুজনই ভারতীয় ক্রিকেটের দুই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। সৌরভ খোদ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান, শাস্ত্রী ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ। একসময় যে সৌরভকে দেরির কারণে টিম বাসে উঠতে দেননি ‘ম্যানেজার’ শাস্ত্রী, সেই শাস্ত্রীই এখন সৌরভের অধীনে ‘চাকরি’ করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে।
টাইমস নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ২০০৭ সালের সেই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শাস্ত্রী আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন, ‘দলের শৃঙ্খলা আগে। যে কেউই অনেক কিছু হতে পারে, কিন্তু দেরি করে এলে টিম বাসে তাঁকে না তোলার সিদ্ধান্ত ছিল। সেদিন ঘটনাটি ঘটেছিল সৌরভের বেলায়, এই যা!’
সৌরভ কি ব্যাপারটি মনে রেখেছেন? তিনি তো এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। শাস্ত্রী তেমন কিছু কখনোই টের পাননি বলেই জানিয়েছেন টাইমসকে, ‘কখনোই না! কোনো আচরণেই সেটি প্রকাশ পায়নি। এই তো ইংল্যান্ডেই সৌরভের সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছে। আমিও তাঁর অনেক খেলা দেখেছি। আমরা তো এক দলেই খেলেছি একসময়। আমি টাটা স্টিলের হয়ে খেলতাম, সৌরভও সেখানে খেলেছে আমার অধিনায়কত্বে। অনেক বছর ধরেই তো আমরা একে অপরকে চিনি।’
দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়েও কথা বলেছেন শাস্ত্রী, ‘গণমাধ্যম এসব খবর ছাপতে পছন্দ করে। এটাকে ভেলপুরি আর চাট মনে করে, তাতে মসলা-টসলা দিয়ে আরও উপাদেয় করে তোলে। আমি নিজেও এ ধরনের খবর উপভোগ করি।’
এদিকে পুরো ঘটনাটিই অস্বীকার করেছেন সৌরভ নিজে। বলেছেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ একই সঙ্গে শাস্ত্রীকে নিয়ে রসিকতা করতে ছাড়েননি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি, ‘রবি শাস্ত্রী নিশ্চয়ই আপনাদের কথাটা ভোরবেলা বলেছে। তাঁকে কখনো কোনো “ব্রেকফাস্ট শো”তে ডাকবেন না। সকালে আসলে কী বলেন সেটা ভুলে যান কিছুক্ষণ পরই। সন্ধ্যার সময় সাক্ষাৎকার নেওয়াটাই ভালো।’
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply