দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুক্রবার সকাল আটটা) ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৯০৭ জন। ২৯ হাজার ৭৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৪১।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় মৃত্যু কমলেও রোগী শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সঙ্গে কিছুটা বেড়েছে শনাক্তের হারও। গতকাল ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৬২ জন। রোগী শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
কোনো দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে কি না, তা বুঝতে রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় নেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হয়।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে মারা গেছে ৭ জন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের। তবে বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগে কোনো মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, নারী ২৫ জন।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১১০। দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১৪৭ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯ জন। আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯১৯ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে আগস্টে দেশে করোনার গণ টিকাদান শুরু হয়। গত মাসের শেষ দিকেই দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু কমতে শুরু করে।
করোনাভাইরাসের তথ্য হালনাগাদকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী আজ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬১ জনের। করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২২ কোটি ৭৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ কোটি ৪৬ লাখ ৬ হাজার ২০৫ জন।
Leave a Reply