করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আবার দেশের স্কুলগুলো খুলেছে। দীর্ঘ সময় বাসায় বসে থাকার পর আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বিসত শিক্ষার্থীরা।
ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুরা শুধু পড়াশোনাতেই পিছিয়ে পড়েনি, তারা অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। স্কুলের খাবার থেকে শুরু করে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি থেকেও বাদ পড়েছিল অনেকেই। কেউ কেউ সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও উদ্বেগের শিকার হয়েছে। অনেকেই দুর্ব্যবহার ও সহিংসতার মুখোমুখিও হয়েছে।
স্কুলে আবার ক্লাস শুরু হওয়ায় দীর্ঘদিন পর বন্ধু ও সহপাঠীদের কাছে পেয়ে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। রাজধানী ঢাকার প্রাথমিক ক্লাসের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পর শ্রেণিকক্ষ ফেরার অভিজ্ঞতা জানিয়েছে।
৯ বছর বয়সী আফসানা মিমি জানিয়েছে, ‘লেখাপড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি শিক্ষক হতে চাই। যখন আমি বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতাম, তখন সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি; শিক্ষকদের আমার কাজ দেখাতে পারিনি। একা একা পড়াশোনা করতে ভালো লাগেনি আমার। এখন আমি স্কুলে ফিরে আবার সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি। সত্যিই স্কুল খুব উপভোগ করি।’
আবিদ সরকারের বয়স ১১। সে জানিয়েছে, ‘দীর্ঘদিন পর স্কুল আবার খোলার খবরে আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। আমার কাছে অংক ক্লাস আর খেলার সময়টা স্কুলের সেরা সময়। তবে স্কুলের সবকিছুই আমার ভালো লাগে। ক্লাস শেষ হওয়ার পরে আমি সাধারণত বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে মাঠে ছুটে যাই।’
৯ বছর বয়সী রিয়া মনি বলেছে, ‘আমি স্কুলের সবকিছুই পছন্দ করি। সব ক্লাস আমার পছন্দ। স্কুলে থাকার সেরা দিক হলো, শিক্ষিকার কাছ থেকে শেখা। কারণ আমি তাঁকে অনেক পছন্দ করি…। আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম যখন শুনলাম স্কুল আবার খুলবে। আমি আবার আমার বন্ধু এবং শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করতে পারব। বড় হয়ে আমি পুলিশ হতে চাই এবং অন্যদের সাহায্য করতে চাই।’
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply