1. tarekahmed884@gmail.com : adminsonali :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
Title :
এসএসসির ফল কীভাবে দেখবে শিক্ষার্থীরা, নিয়ম জানাল শিক্ষা বোর্ড ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে দেশে কমছে পেঁয়াজের দাম কয়েকটি শর্তে রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১০ দিনে ২০০ কোটি টাকার মুরগি মরেছে ১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবাকে নিয়ে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে গরু আমদানির পক্ষে ব্যবসায়ীরা, আপত্তি খামারিদের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এর অংশ হিসেবে সম্মানিত রোজাদারগণের মধ্যে ইফতার বিতরণ এইচএসসি শুরু হতে পারে ৩০ জুন, ফরম পূরণ ১৬ এপ্রিল থেকে আলুর দাম বাড়ছে, এবার মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই কেন বাজার চড়া এবার ঢাকার বাজারেও পেঁয়াজের বড় দরপতন

মেয়েদের উপবৃত্তির টাকা বাড়াতে হবে

  • Update Time : শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪৯১ Time View

দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম

করোনার নতুন ধরন ‘অমিক্রন’ ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দিতে হলেও গ্রামাঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার জরিপমতে, করোনায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং গ্রামাঞ্চলে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম সেভাবে চালাতে না পেরে অভিভাবকেরা মেয়ের বাল্যবিবাহ দিতে বাধ্য হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন, প্রথম আলো এবং কিশোর আলোর যৌথ আয়োজনে অনলাইনে মিডিয়া ক্যাফের আলোচকেরা এ কথা বলেছেন।

সেভ দ্য চিলড্রেনের ‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইনের আওতায় ‘করোনাকালে বাল্যবিয়ে: বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ চিন্তা’ শীর্ষক এ মিডিয়া ক্যাফে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

আলোচনায় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের রিসার্চ অ্যান্ড এভিডেন্স অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জের টিম লিড আবু সাঈদ মো. জুয়েল মিয়া বলেন, কোনো ভিত্তি জরিপের তথ্য নেই বলে করোনায় ঠিক কত শতাংশ বাল্যবিবাহ বেড়েছে, তা বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ব্র্যাকের গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ৬ হাজার ৩০০ খানায় পরিচালিত (এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসের তথ্যের ভিত্তিতে) জরিপের ফলাফল বলছে, খানাগুলোর ৩৯ ভাগ মেয়েই বাল্যবিবাহের শিকার হয়। ৩০ শতাংশেরই বিয়ে হয় ১৬ বছর বয়সের আগে। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একটি গুণগত গবেষণায় অভিভাবকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁরা কেন মেয়ের বাল্যবিবাহ দিয়েছেন। এর উত্তরে অভিভাবকেরা করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং গ্রামাঞ্চলে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে না পারায় মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন বলে জানান।

আবু সাঈদ মো. জুয়েল মিয়া করোনার নতুন ধরন অমিক্রন যদি আবার ছড়িয়ে পড়ে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হলে গ্রামাঞ্চলে যাতে শিক্ষাকার্যক্রম কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়, সে দিকে নজর বাড়ানোর কথা বলেন। অভিভাবকেরা যাতে মেয়েকে বোঝা মনে না করেন, সে জন্য মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া উপবৃত্তির টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ারও সুপারিশ করেন তিনি।

আলোচনায় সেভ দ্য চিলড্রেনের সিনিয়র ম্যানেজার (অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড ক্যাম্পেইন) সামিয়া আহমেদ বলেন, করোনায় দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। করোনার প্রভাবে অনেক অভিভাবকের আয়–উপার্জনের পথও বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য হন। অনেকে ছেলেসন্তানকে কাজে দিয়েছেন আর মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। এতে শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ দুটোই বেড়ে যায়।

সামিয়া আহমেদ বলেন, বিভিন্ন জরিপের তথ্য বলছে, পরিবার থেকে একজনের পেটে খাবার দিতে হবে না, মেয়ের বয়স বেড়ে গেলে যোগ্য পাত্র হাতছাড়া হয়ে যাবে, আর সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় মেয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার চেয়ে বিয়ে দেওয়া উত্তম—এ ধরনের বিভিন্ন চিন্তাভাবনা থেকে অভিভাবকেরা মেয়ের বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন। মূল কথা, মেয়ের বিয়ে দিয়ে অভিভাবকেরা দায়মুক্ত হতে চেয়েছেন। সামিয়া আহমেদ অভিভাবকের আয়–উপার্জনের পথ চালু রাখা এবং বাড়ির উঠানে শাকসবজি চাষ, হাঁস–মুরগি পালনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাড়ানোর বিষয়টিতে গুরুত্ব দেন।

ঢাকা জেলার বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘আমরা মেয়ের বয়স ১৮ আর ছেলের বয়স ২১ হলে হলেই বিয়ে নিবন্ধন করি। অনেকেই ভুয়া জন্মনিবন্ধন নিয়ে আসে। তবে আমি অনলাইনে পরীক্ষা করেই ছেলে বা মেয়ের জন্মনিবন্ধনটি ভুয়া কি না, তা বুঝতে পারি। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের অনেক কাজি এ পরীক্ষা করতে পারছেন না।’

মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ ভুয়া জন্মনিবন্ধনসহ হয়রানি প্রতিরোধে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে একটি ‘ইউনিক আইডি’ চালু করার সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, শিশুর ওই ইউনিক আইডিটি দিয়েই জন্মনিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট করলে কেউ আর ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করতে পারবে না। প্রতি পদে পদে হয়রানিও কমবে।

সঞ্চালকের বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, বাল্যবিবাহের ফলে মেয়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। শিশু বয়সেই সন্তানের মা হতে বাধ্য হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়ছে তারা। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া থেকেও ছিটকে পড়ছে। তাই বাল্যবিবাহকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতেই হবে। এ জন্য সচেতনতা সৃষ্টি এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo    Open photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo   Open photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo   Open photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo   Open photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo   Open photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo   Open photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo   Open photo

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

Open photo   Open photo

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021 SonaliKantha
Theme Customized By BreakingNews