আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নয়। একটি রাজনৈতিক দলের উসকানিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিআরটিএ আয়োজিত সড়ক নিরাপত্তা এবং গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ সড়ক ও অর্ধেক বাস ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও কাদের অনুপ্রবেশে মধ্যরাতে আন্দোলন হচ্ছে এবং যেকোনো ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে বাঁশের কেল্লা লাইভ করছে? স্কুলের পোশাক পরে একটি দলের মহানগরের নেত্রী এসব উসকানি দিচ্ছেন, এমন ভিডিও ফুটেজ আছে।
দুর্ঘটনার ১০-১২ মিনিট পর হাজার হাজার মানুষ কোথা থেকে এল, এমন প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দু-তিনটি দুর্ঘটনার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সড়কে দুর্ঘটনা কাম্য নয়, দুঃখজনক। রামপুরায় দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্ন উঠেছে। দুর্ঘটনার ১০-১২ মিনিট পর হাজার হাজার মানুষ কোথা থেকে এল? এত রাতে দুর্ঘটনার খবর ১০-১২ মিনিটের মধ্যে কীভাবে ছড়াল? মৃত্যুর সংবাদ দুঃখজনক। বিভিন্ন প্রশ্ন থাকার পরও আমরা দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছি।’
নিরাপদ সড়কের আন্দোলন কারণগুলো অযৌক্তিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের আন্দোলন যে কারণে হচ্ছে, সেই কারণগুলো অযৌক্তিক নয়, আমি স্বীকার করি। ছাত্রছাত্রীরা যখন আন্দোলন থামিয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করছে, ঠিক তখনই রাজনৈতিক উসকানি দিয়ে তাদের মাঠে নামানো হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেছে। তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাবে, পড়াশোনায় মনোনিবেশ করবে, ছাত্রছাত্রীদের প্রতি এটাই আমাদের পরামর্শ।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্য তাঁরা কী করেছেন, সাত বছর মামলাটা ঝুলিয়ে রেখেছেন। বিএনপি একটা এত বড় দল, সেখানে এত বড় বড় আইনজীবী রয়েছেন, আইনযুদ্ধে তারা কিছুই করেনি। খালেদা জিয়ার জন্য দৃশ্যমান কার্যকর একটি মিছিল কারও চোখে পড়েনি। এখন তাঁরা আবার মায়া কান্না করছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সর্বাধুনিক হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বিদেশ থেকে যদি কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনতে হয়, সে বিষয়েও সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তিনি বলেন, একজন দণ্ডিত ব্যক্তির সাজা স্থগিত করে বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সর্বোচ্চ চিকিৎসার সুযোগও তিনি নিচ্ছেন। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আমলে কাকে তাঁরা বিদেশে যাওয়ার বা চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন? এখন তাঁরা বড় বড় কথা বলছেন।
সড়ক নিরাপত্তা ও গণসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এরই অংশ হিসেবে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, কলাবাগান মাঠসংলগ্ন রাস্তা এবং কাকলী পুলিশ বক্সসংলগ্ন রাস্তায় একযোগে সড়ক নিরাপত্তামূলক রোড শো শুরু হয়েছে।
এ কর্মসূচিতে স্টিকার ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply