এই তো কিছুদিন আগেও পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমী ও ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেই আক্ষেপ করে বলতেন, ইশ্, আমাদের যদি একজন বিরাট কোহলি থাকত! কিন্তু এখন সম্ভবত দিন বদলে গেছে। বাবর আজম তো কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের বড় তারকা; এখন রিজওয়ানও যোগ দিয়েছেন। গত কিছুদিনে এ দুজনের ওপর ভর করেই পাকিস্তানের ক্রিকেট দল কাটাচ্ছে দারুণ সময়।
কোহলি না থাকার আফসোসে পোড়া পাকিস্তানের ক্রিকেটে তাই এখন উল্টো সুর। পাকিস্তানেরই সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ এখন বলছেন, পাকিস্তানিদের আফসোসের কিছু নেই; বরং ভারতীয়রাই নাকি উল্টো আফসোস করবেন তাঁদের একজন বাবর আজম কিংবা মোহাম্মদ রিজওয়ান নেই বলে!
বাবর আজমের নেতৃত্বে সাদা বলের ক্রিকেটে অসাধারণ খেলছে পাকিস্তান। গত মাসে শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছে, এরপর বাংলাদেশে এসে টি-টোয়েন্টির পর টেস্টেও ধবলধোলাই করেছে স্বাগতিকদের। এখান থেকে গিয়ে নিজেদের মাটিতে কদিন আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও ধবলধোলাই করেছে তারা। সিরিজের শেষ ম্যাচে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় পাওয়ার রেকর্ডও গড়েছে পাকিস্তান দল। তাও আবার এক ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্য পেরিয়ে গেছেন বাবর আজমরা।
পাকিস্তানের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মূলে রিজওয়ান ও বাবর। যে ম্যাচে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে, সে ম্যাচেই ৪৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছেন রিজওয়ান। বাবর করেছেন ৫৩ বলে ৭৯ রান। দুজনে মিলে উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেছিলেন ১৫৮ রান। তাঁদের দুজনের এটা চতুর্থ দেড় শ পেরোনো উদ্বোধনী জুটি।
শুধু এ ম্যাচেই কেন, বছরজুড়েই টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত খেলেছেন রিজওয়ান। এক পঞ্জিকাবর্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক হাজারের বেশি রান করা প্রথম ব্যাটসম্যান হয়েছেন তিনি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এ বছর প্রথম দুই হাজার রানের রেকর্ড গড়েছেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
রিজওয়ান ও বাববের এমন পারফরম্যান্স হয়তো প্রতিপক্ষ দলগুলোর অনেক ব্যাটসম্যানের জন্যই ঈর্ষার কারণ। রশিদ লতিফ সেটি তো মনে করেনই, আরেক কাঠি সরেস হয়ে তিনি উদাহরণ হিসেবে টেনে এনেছেন ভারতের দলকে। পিটিভিতে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘এক বছর আগেও আমরা বলতাম যে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টিতে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা বা লোকেশ রাহুলের মতো একজন খেলোয়াড় নেই। কিন্তু আমি মনে করি, কিছুদিন পর ভারতীয়রা বলবে যে “আমাদের রিজওয়ান ও বাবরের মতো একজন খেলোয়াড় নেই।”’
আগের তুলনায় এ দুজন অনেক পরিণত হয়েছে বলেও মনে করেন লতিফ, ‘আগে এ দুজনের স্ট্রাইক রেট নিয়ে আমাদের একটু হতাশা ছিল। কিন্তু তারা নিজেদের ইনিংসে সময়মতো গতি আনতে পারছে।’
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply