যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৪৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ সময় যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন একজনের মৃত্যু হয়েছে।
যশোরে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৭৭। এর মধ্যে একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড যশোর জেনারেল হাসপাতালে ১৬ জন ভর্তি আছেন। অন্যরা বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
যশোর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টার ল্যাব, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও জিনএক্স পদ্ধতিতে ৪৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাড়িতেই আইসোলেশনে রয়েছেন।
সরকারিভাবে তাঁদের মুঠোফোনে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসকের মুঠোফোনের নম্বরসহ নাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে চিকিৎসকের ওই নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে এখনো পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, গত বছর থেকেই টেলিমেডিসিন সেবা চালু রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসককে এ বিষয়ে নিযুক্ত করা আছে। সিভিল সার্জনের ফেসবুক পেজটা আপডেটের কাজ চলছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আবার সবাই সব তথ্য জানতে পারবেন।
এদিকে যশোরের শতভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে দুই দিনের গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সদর উপজেলার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলে। এ ছাড়া জেলার আরও সাতটি উপজেলায় একযোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘২ দিনে যশোরের অন্তত ৬০ হাজার মানুষকে টিকার প্রথম ডোজের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে যশোরের শতভাগ নাগরিককে টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত টিকা আছে। যাঁরা টিকা নিতে আসবেন, সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।’
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যশোর ঈদগাহ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, টিকা নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় করছেন। অনেকে দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছেন। তবে তাঁদের ফেরত পাঠানো হয়। টিকা নিতে আসা মানুষ গাদাগাদি করে সারিতে দাঁড়ানোর কারণে উল্টা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। সারিতে অপেক্ষমাণ লোকজনের মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগই থুতনিতে নামানো ছিল।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply