করোনার টিকাদানে সারা দেশে ছয় দিনের বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। কর্মসূচি চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এরই মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সারা দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের (ইউএইচএফপিও) ফোরামের নির্বাচন।
ইউএইচএফপিও নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে। ভোট দিতে সারা দেশ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা সেখানে একত্র হবেন। এতে করে টিকাদান কর্মসূচির প্রচারণা ও ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউএইচএফপিও নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগের দিন প্রার্থীরা সাধারণ সদস্যদের সামনে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পেশ করবেন। নির্বাচন কমিশন অনলাইনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করবে। এ ছাড়া নির্বাচনের দিনে নিজের নাম, ছবি, ব্যালট নম্বর এবং পরিচয়জ্ঞাপক সাদা ও কালো রঙের কাগজ বিতরণ করতে পারবেন তিনি।
নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের এ ব্যস্ততা টিকাদান কর্মসূচিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন প্রবীণ চিকিৎসক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘টিকাদান কর্মসূচি চলাকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের নির্বাচন কোনোভাবেই আদর্শিক নয়। যেসব কর্মকর্তা নির্বাচনপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তাঁরা দু-চার দিন ব্যস্ত থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। এ অবস্থায় উপজেলা কীভাবে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করবে, তা আমার জানা নেই। তবে ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হবে।’
তবে প্রার্থীদের ব্যস্ততা ও ভোটারদের দূরদূরান্ত থেকে রাজধানীতে ভোট দিতে আসায় টিকাদান কর্মসূচিতে কোনো বাধা পড়বে না বলে মনে করেন ইউএইচএফপিও নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সৈয়দ রেজাউল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন হবে শুক্রবার। তাঁরা শুক্রবার আসবেন, শুক্রবার চলে যাবেন। দূর থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁরা আগের দিন রাতে আসবেন। দেড় মাস আগে এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মোট ৪৬৪ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভোটার। মোট ২৫টি পদে ভোট হবে। দুই বছর পর এ ভোট হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন বা টিকাদান কর্মসূচি—যেকোনো একটির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসক রশীদ-ই-মাহবুব। তিনি বলেন, ‘একই সময়ে দুটো বিষয় “কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট”-এর মধ্যে পড়ে। সরকার তাহলে যে লক্ষ্য নিয়ে এ কর্মসূচি করতে চাইছে, তা পূরণ হবে না।’
সম্প্রতি দেশে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে। এ পর্যন্ত দেশে করোনার পাঁচটি ঢেউ এসেছে। এক ঢেউ থেকে আরেক ঢেউয়ের ব্যবধান বরাবরই দুই থেকে তিন মাসের বেশি সময় থেকেছে। তবে গত জুন থেকে শুরু হওয়া পঞ্চম ঢেউ শেষের এক মাসের মধ্যেই আবার নতুন করে সংক্রমণ কেন বাড়ছে, তার সরাসরি কোনো জবাব পাওয়া যাচ্ছে না জনস্বাস্থ্যবিদদের কাছ থেকে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply