সৌদি আরবে ডাই–অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানা স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ। এতে সাশ্রয়ী খরচে সেখানে সার উৎপাদন সম্ভব হবে। পাশাপাশি মুনাফা ভাগাভাগির মাধ্যমে দেশে আমদানি করলে তাতে খরচও কম লাগবে।
এ লক্ষ্যে প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সৌদি আরবের কোম্পানি হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশনের (এইচএসসিসি) সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এটি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে বিসিআইসির জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক সমীর বিশ্বাস ও হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ পরিচালক আবদুল আজিজ ডুহাইম স্বাক্ষর করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা ও বিসিআইসি চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি।
চুক্তি অনুসারে, সৌদি আরবে একটি ডিএপি কারখানা প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখবে এইচএসসিসি। ২০২৪ সালের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করবে তারা। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করবে বিসিআইসি।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস নেই। এই সারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রক ফসফেট ও ফসফরিক অ্যাসিডও নেই। এ কারণে সৌদি আরবে কারখানা স্থাপন করার চিন্তা করা হয়েছে। কারখানা স্থাপন প্রক্রিয়া যৌথ বিনিয়োগে হতে পারে।
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সারের চাহিদা রয়েছে বলে জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং অধিশাখার গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল বাতেন। তিনি জানান, চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের একমাত্র ডিএপি সার কারখানায় উৎপাদন হয় প্রায় ১ লাখ টন সার। বাকিটা আমদানি করতে হয়। সাধারণত বোরো মৌসুম, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সময়ে ফসল উৎপাদনে ডিএপি সারের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শরিফ মো. মাসুদ জানান, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের সময় ডিএপি সার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছিল। তার আলোকেই গতকালের এ সম্ভাব্যতা যাচাই চুক্তি হয়েছে। এর মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে সার কারখানা স্থাপনের বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তির রূপরেখা তৈরি হবে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply