ভারতীয় চালের রপ্তানিমূল্য চলতি সপ্তাহে বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি এবং ভারতীয় মুদ্রা রুপির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্বেগ থাকার কারণে ভিয়েতনামে চালের বাজারে উচ্চ মূল্য বজায় থাকবে।
ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় সেদ্ধ চাল। প্রতি টন সেদ্ধ চালের জন্য এই সপ্তাহে ৩৮৩ ডলার থেকে ৩৮৯ ডলার দাম চাওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল টন প্রতি ৩৮০ থেকে ৩৮৫ ডলার।
দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশের কাকিন্দা শহরের একজন রপ্তানিকারক বলেন, কয়েক দিন ধরে কৃষিপণ্যের দাম সার্বিকভাবে বাড়ছে। চালের দাম বাড়ার পেছনে এটিও কাজ করছে।
বৃহস্পতিবারে ভিয়েতনামের চাল প্রতি টন ৪৬০ ডলার দাম চাওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও এই দাম ছিল।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নগুয়েন গক নামকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে স্বল্প মেয়াদে চালের দাম উঁচু পর্যায়ে থাকবে। কারণ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিশ্বের অনেক দেশই তাদের খাদ্য মজুতের পরিমাণ বাড়াচ্ছে।
ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আগে বলেছিল, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যাতে বাড়ে, সে ব্যাপারে সমর্থন দিতে তাদের ওপর চাপ বাড়ছে। একই সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও মুদ্রা বিনিময় বাজার স্থিতিশীল রাখার মতো বিষয়ের দিকেও তাদের নজর দিতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিয়েতনাম চলতি বছর ৬৫ থেকে ৬৭ লাখ টন চাল রপ্তানি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭১ লাখ টন।
থাইল্যান্ডে চালের দাম চাওয়া হয়েছে ৪৮০ থেকে ৪৮২ ডলার। গত সপ্তাহে প্রতি টন চালের দাম ছিল ৪৭৫ থেকে ৪৮২ ডলার। ব্যাংককের একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, চালের অভ্যন্তরীণ দাম খানিকটা বেশি। কারণ, মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে আসছে। ফলে বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে।
বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোটা চালের দাম ওঠানামা করছে। তবে বাংলাদেশে বোরো ধানের অনুকূল ফলন হয়েছে এবং সরকারি শস্যাগারগুলো আবার পরিপূর্ণ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply