নেদারল্যান্ডসের গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে যে ডাচ অর্থনীতির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি হলো চীন। আজ সোমবার প্রকাশিত তাদের বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি এ কথা বলেছে। যেসব হুমকি তারা চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক গোয়েন্দাগিরি ও ছদ্মবেশী বিনিয়োগ।
অন্যদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডসের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় হুমকি হলো রাশিয়া। খবর রয়টার্সের
নেদারল্যান্ডস চীনকে একটি বড় বাণিজ্যিক অংশীদার বলে মনে করে। কিন্তু সংক্ষেপে এআইভিডি নামের বেশি পরিচিত এই গোয়েন্দা সংস্থার ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে চীন ডাচ ও পশ্চিমা প্রযুক্তি অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘চীনা কোম্পানি ও জ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনেক ক্ষেত্রেই ডাচ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মূল্যবান অংশীদার হিসেবে কাজ করে। একই সময়ে দেশটি ডাচ অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকিও তৈরি করছে।’
এআইভিডি আরও বলেছে, ‘চীন বৈধ বিনিয়োগ, বিভিন্ন কোম্পানি অধিগ্রহণ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা—এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি অবৈধ (ডিজিটাল) গোয়েন্দাগিরি, ভেতরের খবর সংগ্রহ, ছদ্মবেশী বিনিয়োগ ও অবৈধ রপ্তানিতে জড়িত রয়েছে। ডাচ কোম্পানি, জ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ও বিজ্ঞানীরা এসবের নিয়মিত শিকার।’
একটি বড় লক্ষ্য হলো নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ভেল্ডহোভেন-ভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এএসএমএল। কম্পিউটার চিপ তৈরিতে যে লিথোগ্রাফি যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, পৃথিবীজুড়ে সেই যন্ত্র সরবরাহ করে এই প্রতিষ্ঠান। চীন হলো এএসএমএলের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার।
গত ৮ মার্চ নেদারল্যান্ডসের সরকার ঘোষণা করে যে তারা সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন আইন চালু করবে। ২০২২ সালের অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তারা অনেকটা একই রকম আইন করার চিন্তা করছে। মার্কিন ওই বিধিনিষেধের লক্ষ্য হলো, চীনের নিজস্ব চিপ তৈরি করার সক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করা।
ওই নীতির বিস্তারিত এখনো অজানা। তবে এএসএমএল গত মার্চে জানিয়েছিল যে তাদের অত্যাধুনিক বেশ কিছু প্রযুক্তির জন্য লাইসেন্স নিতে হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছে।
এআইভিডি গত ফেব্রুয়ারিতে জানায়, সম্ভাব্য নাশকতার উদ্দেশ্যে রাশিয়া ডাচ উত্তর সাগরে তাদের বায়ুবিদ্যুৎ স্থাপনা ও অবকাঠামোর ওপর গোয়েন্দাগিরি চালিয়েছিল। ২০২২ সালে ডাচ সরকার রাশিয়ার ১৭টি গোয়েন্দা সংস্থাকে দেশটি থেকে বহিস্কার করেছিল।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply