কর্তৃপক্ষের অদক্ষতায় সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। তাই সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর পরিচালনার দায়িত্ব বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) কাছে হস্তান্তরের দাবি তুলেছেন সেখানে কারখানা স্থাপনকারী শিল্পমালিকেরা।
রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে গতকাল সোমবার আয়োজিত এক সেমিনারে এ দাবি জানান বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ। চামড়াশিল্পের টেকসই উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে যৌথভাবে ইআরএফ ও বিটিএ সেমিনারটি আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করেছে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিএ চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ ও সংগঠনটির প্রকল্প বিভাগের প্রধান রেহানা আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের এ দেশীয় প্রতিনিধি কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ।
প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট বা বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম, বিটিএর উপদেষ্টা তরিকুল ইসলাম খান, ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ও ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
সেমিনারে বিটিএ চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ বলেন, ট্যানারি মালিকেরা চামড়াশিল্প নগরীতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। সরকারও সেখানে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। তবে শিল্পনগরী পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ব্যর্থতার কারণে শিল্পনগরীটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। তাই বিসিকের পরিবর্তে বেজা বা বেপজার কাছে শিল্পনগরীর দায়িত্ব হস্তান্তর করা দরকার।
ইতিমধ্যে সাভারে চামড়াশিল্প নগরীর দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শাহীন আহমেদ বলেন, যারা ব্যর্থ, তাদের কোনোভাবেই দ্বিতীয় ধাপের কাজ দেওয়া ঠিক হবে না।
ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকার ও ট্যানারি মালিকদের সদিচ্ছা না থাকলে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের অধীনে গেলেও কোনো লাভ হবে না। এত বছরেও সাভার চামড়াশিল্প নগরীতে সিইটিপি পুরোপুরি কার্যকর করা গেল না। সেখানকার কিছু কিছু কারখানাও নিয়মনীতি পালনে আগ্রহী নয়।
বিটিএ উপদেষ্টা তরিকুল ইসলাম খান বলেন, তৈরি পোশাক খাত সরকার থেকে অনেক সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও চামড়াশিল্প খাত তেমন কিছুই পায়নি।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়ে শাহীন আহমেদ বলেন, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি সাভারে স্থানান্তর হওয়ায় রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্বে চামড়া রপ্তানির বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। তবে সেখানে রপ্তানির জন্য ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশনের (আইএসও) সনদ প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া ইউরোপের আরেক সংস্থা লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) পরিবেশ স্বীকৃতিও লাগে।
শাহীন আহমেদ জানান, বর্তমানে চামড়াশিল্প নগরীতে ১৩০টি কারখানা উৎপাদনে রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি ট্যানারি এলডব্লিউজি সনদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। চামড়াশিল্প নগরীর সক্ষমতা না বাড়লে দেশের পশুর চামড়া ভবিষ্যতে প্রতিবেশী দেশে পাচার হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply