দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম

হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সম্পা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ইদ্রিস আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নামে ভারতের বিহার থেকে ৩টি ছোট ট্রাকে করে ১২ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। মানভেদে এসব কাঁচা মরিচের ক্রয়মূল্য পড়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি। আর হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক, অন্যান্য খরচসহ প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।’

হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ভারত থেকে যেসব কাঁচা মরিচ হিলি স্থলবন্দরে আসে, সেগুলোর অধিকাংশই ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলায় যায়। তবে এসব কাঁচা মরিচ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হলে তাতে স্থানীয় বাজারে দাম অনেক কমবে।

এ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে জানান, চলতি বছরের ২৬ জুন থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ভারত থেকে ২৮১ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এসব কাঁচা মরিচ আমদানি অনুমতিপত্রে (আইপি) প্রতি মেট্রিক টনে ১৯৮ মার্কিন ডলার খরচ পড়েছে। পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে।

বিরামপুর নতুনবাজারের কাঁচা মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যেহেতু আজ ভারত থেকে বেশি পরিমাণে কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আগামীকাল শুক্রবার পাইকারি বাজারে সরবরাহ বাড়তে পারে। তাতে পাইকারি ও খুচরায় দাম আরও কমে যাবে। বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়লে ব্যবসায়ীদের লোকসানে বিক্রি করতে হয়।