দৈনিক মৌলভীবাজার সোনালী কণ্ঠ নিউজ ডট কম

আইনজীবী সূত্রগুলো জানায়, রায়ের ওই অংশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আপিল বিভাগে আবেদন (রিভিউ) করে। অন্যদিকে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এলএলবি পাসের পর আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে জটিলতায় পড়েন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টে পৃথক রিট করলে তা খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পক্ষে পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়। পুনর্বিবেচনা আবেদন ও লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ওই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

আদালতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, আইনজীবী সৈয়দা নাসরিনসহ কয়েকজন শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পক্ষে আইনজীবী এস এম কফিল উদ্দিন শুনানিতে ছিলেন।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আগের সিদ্ধান্ত সংশোধন করে দিয়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে প্রতি সেমিস্টারে ৭৫ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ শিক্ষার্থীর পরিবর্তে সেমিস্টারে (শিক্ষাবর্ষে) ১০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে বলে রায়ে এসেছে। রায় ২০১৭ সাল থেকে কার্যকর বলে গণ্য করা হয়েছে।

বার কাউন্সিলের আইনজীবী এস এম কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের পর ২০১৭ সাল থেকে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গত ছয় বছরে এলএলবি কোর্সে প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। এই সময়ে যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে, জনপ্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ২৫ হাজার টাকা করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। জরিমানার ৮০ শতাংশ অর্থ বার কাউন্সিলের রিলিফ ফান্ডে এবং ২০ শতাংশ অর্থ সুপ্রিম কোর্টের ডে কেয়ার সেন্টারে দিতে বলা হয়েছে।