পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। একই সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংগঠিত হওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে তারা। এসব দাবি আদায়ে মিছিল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রাসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
একই সঙ্গে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন শ্রমিকদের মূল মজুরি ৬৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বেতন বাড়ানোর দাবি জানান।
১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিন আজ রোববার জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি তখন শ্রমিকদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি আমিরুল হক। এ ছাড়া কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন জানিয়েছে, ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে ২ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন কারখানা, এলাকায় সংগঠিত হওয়া ও মিছিল-সমাবেশ করা হবে। এ কর্মসূচি শেষে আগামী ১৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন পোশাকশ্রমিকেরা।
আজকের কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ৮ হাজার টাকা মজুরি ছিল ওই সময়ে ১০০ ডলারের সমান। বর্তমানে ১০০ ডলারের বাজারদর দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার টাকার বেশি। অন্যদিকে গত পাঁচ বছরে দেশে দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা দু-তিন গুণ বেড়েছে। বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করলে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকার বেশি হওয়া উচিত।
শ্রমিক নেতারা আরও বলেন, পোশাক কারখানার মালিকদের মুনাফা ৭ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। এ ছাড়া মালিকেরা রপ্তানির বিপরীতে সরকারের কাছ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনাও পান। এ বিষয়গুলোও মজুরি নির্ধারণে আমলে নেওয়া দরকার।
Leave a Reply