সমুদ্রমুখী ট্রিপ্লেক্স (তিনতলা বিশিষ্ট) অ্যাপার্টমেন্ট কিনে রেকর্ড গড়েছেন ভারতের শিল্পপতি জে পি তাপারিয়া পরিবার। মুম্বাই শহরের দক্ষিণাঞ্চল মালাবার হিল অঞ্চলে সমুদ্রমুখী ট্রিপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্ট ৩৬৯ কোটি রুপিতে কিনে রেকর্ড গড়েছে এই পরিবার।
এই অতি বিলাসবহুল আবাসন কমপ্লেক্স লোধা টাওয়ার মুম্বাইয়ের ওয়াকেশ্বর রোডে অবস্থিত। এর ঠিক উল্টো দিকেই আছে গভর্নরের এস্টেট এবং তার পাশেই আরব সাগর ও হ্যাঙ্গিং গার্ডেন। এই বৃহৎ অ্যাপার্টমেন্টের আয়তন ২৭ হাজার ১৬০ বর্গফুট, যার প্রতি বর্গফুটের দাম পড়েছে ১ দশমিক ৩৬ লাখ রুপি। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
৩৬৯ কোটি রুপিতে এই অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির পর এটি ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রির রেকর্ড গড়েছে। এর আগে দেশটিতে এর চেয়ে বেশি দামের অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি হয়নি। জে পি তাপারিয়া বাড়িটি কিনে সম্প্রতি নিরাজ বাজাজের কেনা বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের রেকর্ড ভেঙেছেন। বাজাজ গ্রুপের সংস্থা বাজাজ অটোর চেয়ারম্যান নিরাজ বাজাজ সমুদ্রের ধারে পেন্টহাউস কিনেছিলেন ২৫২ দশমিক ৫০ কোটি রুপিতে।
জে পি তাপারিয়া লোধা গ্রুপের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ম্যাক্রোটেক ডেভেলপারসের কাছ থেকে অ্যাপার্টমেন্টটি কিনেছেন। এই লেনদেনের জন্য শুধু স্ট্যাম্প শুল্ক বাবদ খরচ পড়েছে ১৯ দশমিক শূন্য ৭ কোটি রুপি। জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী তৈরি করে এই তাপারিয়া পরিবার। তিনি ভারতে ফেমিকেয়ার নামের জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী প্রস্তুতকারক কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা।
তাপারিয়া রেকর্ড দামে ১ দশমিক শূন্য ৮ একর জমির ওপর তৈরি যে প্রকল্পে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন সেটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। প্রকল্পটির কাজ ২০২৬ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা।
মুম্বাই শহরের মালাবার হিল এবং ওয়াকেশ্বর রোড বসবাসের জায়গা হিসেবে খুবই আকর্ষণীয়। এটি ভারতের সবচেয়ে বিলাসবহুল আবাসিক এলাকাগুলোর একটি। মুম্বাই শহরের বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো এ এলাকার খুব কাছাকাছি হওয়ায় মালাবার হিলের গুরুত্ব অনেক বেশি। ভারতের অনেক শিল্পপতি, করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও ধনী ব্যক্তির বসবাস এই অঞ্চলে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২৪০ কোটি রুপিতে তিনতলাবিশিষ্ট ৩০ হাজার বর্গমিটারের পেন্টহাউস কিনেছিলেন ভারতের ওয়েলস্পন গ্রুপের চেয়ারম্যান বি কে গোয়েঙ্কা। পেন্টহাউসের বিভিন্ন বারান্দা থেকে সমুদ্রসৈকত দেখা যায়।
রিয়েল এস্টেট রেটিং এবং রিসার্চ ফার্ম লিয়াসেস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি পঙ্কজ কাপুর গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইকোনমিক টাইমসকে বলেছিলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে ভারতে অতি বিলাসবহুল আবাসন খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ হতে পারে। কারণ, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের পর রিয়েল এস্টেটে ১০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগে বেশ কিছু বাড়তি কর আরোপিত হতে পারে।
এর আগে ২০১৫ সালে ১০ হাজার বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিল জিন্দাল পরিবার। ওষুধের ব্যবসা আছে এই পরিবারের। মোট ১৬০ কোটি টাকায় কেনা হয়েছিল সেই অ্যাপার্টমেন্ট। এরপর ২০২২ সালে অভিনেতা রণবীর কাপুর বান্দ্রার সংগম বিল্ডিংয়ে ১১৯ কোটি টাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
অবশ্য জে পি তাপারিয়া পরিবার এবার ৩৬৯ কোটি রুপিতে ফ্ল্যাট কিনে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন
Leave a Reply